ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রোজিনাকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন: ডিআরইউ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ১৯ মে ২০২১   আপডেট: ১৯:৩৩, ১৯ মে ২০২১
রোজিনাকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন: ডিআরইউ

মামলা প্রত্যাহার করে নির্যাতিত প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির নেতারা। অন্যথায় রাজপথে অবস্থান করে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁসিয়ারি দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে রোজিনাকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বুধবার (১৯ মে) দুপুরে সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে ডিআরইউ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এসব দাবি জানান।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি আবদাল আহমেদ, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ইলিয়াস হোসেন ও রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সেক্রেটারি সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ ও রিয়াজ চৌধুরী, ডিআরইউর সহ সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, বিএফইউজের সদস্য শেখ মামুনুর রশিদ, বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস, সেক্রেটারি শামীম আহমেদ, ক্রাবের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আরিফ, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী, ডিআরইউর কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুর রহমান আজিজ, সাবেক নেতা আজমল হক হেলাল, শেখ জামাল হোসাইন, সিনিয়র সদস্য শামীমা দোলা, নাদিয়া শারমীন প্রমুখ।

প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, রোজিনা ইসলাম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক। তাকে হেনস্তা করে মামলা দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা থামিয়ে দিতে চায়। আজকে রোজিনার মুক্তির দাবিতে সারাদেশের সাংবাদিকরা এক হয়েছেন। এজন্য প্রথম আলো পরিবার কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, এই মামলার কোনো মেরিট নেই। আমরা আজকের মধ্যেই এই মামলা প্রত্যাহার চাই। সরকার চাইলে সেটা করতে পারে। আমরা রোজিনার মুক্তি চাই।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, প্রশাসনের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে সাংবাদিকরা চক্ষুশূল হয়েছেন। ফলে রোজিনা ইসলামের ওপর হামলা।  রোজিনার মামলা যদি প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত যাব আমরা।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।  তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। আশা করছি, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত যে জামিনের শুনানি করবেন, সেই শুনানিতে আমাদের বোন মুক্ত হবে।

ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানি বলেন, রোজিনাকাণ্ডে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অরুচিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এই বক্তব্য প্রত্যাহার চাই। আমরা আরও দেখেছি- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করেছে। এটা হাস্যকর। যারা রোজিনার ওপর হামলা করেছে তারাই আবার তদন্ত করবে, আমরা এটা মানি না। এই তদন্ত কমিটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের হত্যাচেষ্টায় তার পরিবার, তার কর্মস্থল না করলেও ডিআরইউ হত্যাচেষ্টা মামলা করবে।

তিনি বলেন, কাল যদি রোজিনাকে মুক্তি না দেওয়া হয় আমরা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একত্রিত হয়ে আদালত অভিমুখে যাত্রা করবো।  আমরা রোজিনাকে মুক্ত করেই ঘরে ফিরব।

ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, আমরা পেশাদার সাংবাদিক। আমরা রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না। দ্রুত রোজিনা ইসলামের মুক্তি চাই।

সমাবেশ চলাকালে সাংবাদিকরা ‘আমার বোন নির্যাতিত কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘প্রশাসনের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘রোজিনা ইসলামের মুক্তি চাই’ স্লোগান দেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সাবেক সেক্রেটারি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, নারী সম্পাদক রীতা নাহার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, ক্রীড়া মাকসুদা লিসা, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম জসিম, রফিক রাফি, রোমানা জামান প্রমুখ।

 

নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়