সাংবাদিক কাফি খানের মৃত্যু, ফখরুলের শোক
কাফি খান
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের এক সময়ের সংবাদ পাঠক এবং অভিনেতা ও বাচিক শিল্পী কাফি খান আর নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে ভার্জিনিয়া সেন্টার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেলে কাফি খান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন তার ছেলে রাফি খান।
কাফি খান দীর্ঘদিন প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
কাফি খান ১৯৬৬ সালে ভয়েস অফ আমেরিকায় যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে দেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৩ সালে তিনি দ্বিতীয় বার ভয়েস অফ আমেরিকায় যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি বেশকিছু দিন খণ্ডকালীন বেতার সম্প্রচারক হিসেবে ভয়েস অফ আমেরিকায় যুক্ত ছিলেন। ষাটের দশকে ঢাকায় তিনি USIA ( তদনীন্তন USIS)’এ ও কাজ করেছেন। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশকের প্রথমদিক পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কাফি খানের জন্ম ১৯২৮ সালে ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের কাজীপাড়া গ্রামে। গ্রামের স্কুলে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি পড়াশোনা করেছেন। বারাসত গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে পাস করেন ম্যাট্রিক। তারপর কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করে বিকমে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের কিছু আগে তিনি ঢাকায় চলে আসেন বড় ভাইয়ের সঙ্গে।
মির্জা ফখরুলের শোক
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বাচিকশিল্পী কাফি খান না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, কাফি খান ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি। কাফি খান সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশি দশকের শুরু পর্যন্ত এ দায়িত্ব নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেন। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
/সাওন/এসবি/
আরো পড়ুন