ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে

সংসদ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ১৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে

ফাইল ফটো

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ইউনেস্কো যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম রহমতুল্লাহর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের শিল্প, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বাক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে ইউনেস্কো বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশে বিদেশে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, দ্বি-বার্ষিক অ্যানিভার্সারি প্রোগ্রাম- এর আওতায় ইউনেস্কো কোন বিশেষ ঘটনার বা বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মের ৫০ তম বা তদূর্ধ্ব অর্থাৎ ১০০তম, ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করে থাকে। এই প্রোগ্রামের আওতায় ইউনোস্কো ২০২০-২১ সালের জন্য ৫৯টি এনিভার্সারি উদযাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক কোন বিশেষ ঘটনা বা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী পালনের অন্যতম শর্ত হলো ইউনেস্কোর ম্যানেন্ডভুক্ত বিষয়সমূহ শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বাক-স্বাধীনতার সমুন্নত করনে উক্ত ঘটনার বা ব্যক্তির বিশেষ অবদান থাকা। কোনো দেশ এ বিষয়ে আবেদন করলে পরবর্তীতে সাধারণ সভায় গৃহীত হলে তা ইউনেস্কো কর্তৃক উদযাপিত হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি আমার সম্মতিক্রমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তাব এনিভারসিটিতে উত্থাপন করে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডে যৌথভাবে উদযাপনের একটি প্রস্তাব ইউনেস্কো সাধারণ সভার ৪০তম অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়। এরপর গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ইউনেস্কো সাধারণ সভায় ৪০তম অধিবেশনের প্রোগ্রাম এবং বাজেট সম্পর্কিত কমিশন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে প্ল‌্যানারি সেশনে তা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।

তিনি জানান, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুকে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ও ২০২০ সালে তার জন্মশতবার্ষিকী যৌথভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিভিন্ন বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ অবদান এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলজীবন হতেই শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে বঙ্গবন্ধু সচেতনতা ও পরবর্তীতে শিক্ষা বিস্তারে বিভিন্ন কার্যক্রম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিকাশে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর পরিকল্পনা এবং সর্বোপরি ভাষার অধিকারসহ বাঙালির সকল অধিকার আদায়ের বঙ্গবন্ধুর অবিচল সংক্রামক রোগের বিষয়বস্তুসমূহ ইউনোস্কো বিশেষভাবে বিবেচনা করেছে।

উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুকে একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয় বরং সাধারণ মানুষের অধিকারের প্রতীক হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্যোগী হয়। বাংলার জনগণের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, রক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও উদ্যোগের স্বীকৃত হলো ইউনোস্কোর এই সিদ্ধান্ত।

 

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়