ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

রাগীব মেডিক্যালের ২ শিক্ষার্থী বেঁচে আছেন

নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১৩ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাগীব মেডিক্যালের ২ শিক্ষার্থী বেঁচে আছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : কাঠমান্ডুতে ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা বিমানের যাত্রী সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ নেপালি শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজন বেঁচে আছেন।

জালালাবাদের ওই মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রাপ্ত তালিকা ও ইউএস-বাংলার প্রকাশিত জীবিত যাত্রীদের তালিকা থেকে দুই শিক্ষার্থীর জীবিত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফের দেওয়া তথ্যে জীবিত ১৯ যাত্রীর মধ্যে প্রিন্সি ধামি ও সামিরা বায়জানকার নামে দুই শিক্ষার্থী নাম দেখা যায়।

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবেদ হোসাইন বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও নেপালে থাকা তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি ১৩ জনের মধ্যে দুই শিক্ষার্থী বেঁচে আছেন। তবে তারা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের নেপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের ১১ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন দিনের শোক পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

অধ্যক্ষ আবেদ হোসেনে আরো বলেন, ‘প্রথম দিকে তাদের ১৩ নেপালি শিক্ষার্থীর সন্ধান না পাওয়ায় তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে তা বলা যায়নি। তবে রাতে দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়েছি। বাকি ১১ জন এখনো নিখোঁজ এবং তারা সবাই নিহত হয়েছেন বলে আমরা ধারণা করছি।’

উল্লেখ্য, শেষ পর্বের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছুটি কাটাতে নিজ দেশে যাচ্ছিলেন ওই ১৩ শিক্ষার্থী।  এরা হলেন- ১৯তম ব্যাচের সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিন্সি ধামি।

কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, শেষ বর্ষের পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশের জন্য দুই মাসের মতো সময় লাগে। সাধারণ রেজাল্ট বের হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো অ্যাসাইনমেন্ট থাকে না। তাই ওই সময়ে সবাই নিজেদের বাড়িতে চলে যায়। নেপালের শিক্ষার্থীরাও গত রোববার তাদের দেশে যাচ্ছিলেন।

তিনি আরো জানান, আমরা নেপালি অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের অ্যাম্বাসিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।

ওই মেডিক্যালে ২৫০ জন নেপালি নাগরিক পড়ালেখা করছেন বলেও জানান তিনি।



রাইজিংবিডি/সিলেট/১৩ মার্চ ২০১৮/নোমান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়