ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নিরাপদ পৃথিবীর দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিরাপদ পৃথিবীর দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘট

জলবায়ু ন্যায্যতা এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘটে রাস্তায় নামে শত শত তরুণ। তাদের দাবি, পৃথিবী একটাই, আর এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এখনই।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ এর অংশ হিসেবে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ কর্মসূচির আয়োজন করে তরুণদের প্ল্যাটফর্ম একটিভিস্টা, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, কেয়ার বাংলাদেশ, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এবং পরিবেশ সচেতন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ।

কর্মসূচিতে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, শিক্ষার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ-এর প্রোগ্রাম পরিচালক মো. আসগর আলী সাবরী, রেজিলিয়েন্স এবং ক্লাইমেট জাস্টিস ইউনিটের প্রধান তানজীর হোসেন, ওয়াহিদা জামান সিথি প্রমুখ।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ২০১৮ এর আগস্ট মাসের শুরুর দিকে, বিশ্বের শীর্ষ জলবায়ু বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দেন যে, জলবায়ু উষ্ণতাকে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। এ জন্য সময় আছে মাত্র ১২ বছর। এই ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ০.৫ ডিগ্রিও যদি বাড়ে তবে খরা, বন্যা, চরম তাপ এবং দারিদ্র্যের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে শত কোটি মানুষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বনেতারা এ বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগী নয় এবং দ্রুত সময়োপযোগী কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। ফলে বিশ্বে এখন জলবায়ু জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাই জলবায়ু বিপর্যয় থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তারা বলেন, `জলবায়ু সংকট আমাদের দেশ ও পৃথিবীর জন্য এক বিপর্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু সংকট উত্তরণে প্রয়োজন, দূষণকারী দেশগুলো থেকে প্রাপ্য ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহদাংশই হচ্ছে তরুণ, যারা জলবায়ু সংকট মোকাবিলার প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। জলবায়ু পরিবর্তনের যে ঝুঁকিগুলো আমরা মোকাবিলা করছি, সে বিষয়ে আমাদের কথা নীতিনির্ধারকদের শুনতে হবে এবং তা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সবুজ উদ্যোগে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে। আমরা দূষণের বিরুদ্ধে এবং জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সুবিচারের পক্ষে। আমাদের দাবি পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচতে দিন।’


ঢাকা/মামুন খান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়