ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যানজট নিরসনে তৈরি হচ্ছে আউটার রিং রোড

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যানজট নিরসনে তৈরি হচ্ছে আউটার রিং রোড

প্রতীকী ছবি

ঢাকার যানজট নিরসন এবং ঢাকার ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যানবাহন যাতায়াত সহজ করার জন্য আউটার রিংরোড নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে দশ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২০ সালে শুরু হয়ে ২০২৩ সালে শেষ করা হবে। প্রকল্পটি জাপানি জি টু জি ভিত্তিক পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছ। পূর্ব-পশ্চিম দিকের তুলনায় উত্তর-দক্ষিণে বর্তমানে যান চলাচল ও সড়কের সংখ্যা বিবেচনায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপের কারণে ঢাকা মহানগরীর যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সরকারের শাসনামলে ক্রমবর্ধমান যানবাহনের অত্যাধিক চাপ সামলানোর জন্য ঢাকা সিটিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী প্রস্তাবিত আউটার রিং রোডের এলাইনমেন্টের কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত রুটটি হচ্ছে-হেমায়েতপুর-কালাকান্দি-ততীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর-ভুলতা (ঢাকা বাইপাস হয়ে)-কড্ডা (গাজীপুর)-বাইপাইল (ঢাকা ইপিজেড)-হেমায়েতপুর। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণ করতে হবে এবং অবশিষ্ট ৮৪ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ক উন্নয়ন করতে হবে।

সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর ও পূর্বাংশের সংযোগ স্থাপন করবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থকে মুন্সিগঞ্জ ও মাওয়া হয়ে যাত্রাবাড়ী দিয়ে অসংখ্য যানবাহন ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করবে, ফলে রাজধানীতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এতে সংশোধিত এসটিপিতে প্রস্তাবিত এলাইনমেন্টের মধ্যে আউটার রিং রোডের দক্ষিণ অংশ হেমায়েতপুর-কালান্দি-মদনপুর অংশ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এ অংশ অতি দ্রুত নির্মাণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ অবস্থা বিবেচনা করে আউটার রিং রোডের দক্ষিণাংশের প্রায় ৪৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর (ঢাকা-আরিচা  মহাসড়ক) থেকে কালান্দি (ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক) যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার, কালান্দি থেকে তৃতীয়  শীতলক্ষ্যা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং শীতলক্ষ্যা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে মদনপুর (ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক) যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা মহানগরীর ভেতরে প্রবেশ না করেই দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিমে এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে যাতায়াতকারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং ঢাকার যাত্রীদের একটা বড় অংশ আউটার রিং রোড ব্যবহার করে খুব সহজে ও কম সময়ে ভ্রমণ করতে পারবে। ফলে ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরের যানজট ব্যাপকভাবে কমবে এবং বিদ্যমান ট্র্যাফিক লোড রিং রোডের দিকে মোড় নেবে। যাত্রীরা আউটার রিং রোড দিয়ে ইনার রিং রোড ব্যবহার করে ঢাকা মহানগরীর যেকোনো এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নিরাপদে এবং স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারবে।

‘আউটার রিংরোড নির্মাণ (দক্ষিণাংশ)’ শীর্ষক প্রকল্পটির নীতিগত অনুমোদনের জন্য বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। সে সময় প্রকল্পটি টেকনিক্যাল  ডিজাইন, মোড অব ফান্ডিং এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি স্পষ্টিকরণসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কমিটির দেওয়া  নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় সংশোধন করে বুধবারের বৈঠকে উপস্থান করবে।


ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়