নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: মন্ত্রী

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, জাপানে বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার টোকিওর তাকানাওয়ায় অবস্থিত গ্রান্ড প্রিন্স হোটেলে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন। টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপান বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন, জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ স্মল বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এর সহযোগিতায় আই এম জাপান এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, আই এম জাপান কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাদানোরি সাকামোতো, আই এম জাপানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিয়োই ইয়ানাগিসাওয়া, মাচিদা হাসপাতালের প্রধান পরিচালক কেইসুকে ইরাকোসহ জাপানে কর্মরত বাংলাদেশি টেকনিক্যাল ইন্টার্নরা সেমিনারে বক্তৃতা করেন।

জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান আর আমাদের এই উন্নয়নের সক্রিয় অংশীদার জাপান।

বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষ, কর্মঠ ও মেধাবী এ কথা উল্লেখ করে জাপানের প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগের সময় বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য জাপানি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও প্রতিনিধিদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ফলশ্রুতিতে গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এটি বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক দক্ষ লোকবল জাপানে নিয়োগে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উম্মোচন করেছে।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষ মানবসম্পদ জাপানে নিয়োগে জাপানি প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতা কামনা করেন।

সেমিনারে মাচিদা হাসপাতালের প্রধান পরিচালক কেইসুকে ইরাকো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন। এছাড়া আই.এম জাপানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিয়োই ইয়ানাগিসাওয়া টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে জাপানে কর্মরত বাংলাদেশি টেকনিক্যাল ইন্টার্নরা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।


ঢাকা/হাসান/সাইফ