৮০০ ইঁদুর মেরে পুরস্কৃত যোহান হাসদা
উপজেলা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ইঁদুর ধরতে তার মতো পারদর্শী লোক কমই আছেন। তিনি নিজের কৌশলে ইঁদুর ধরেন। কৌশল হলো বাঁশের কঞ্চি ও সুতা দিয়ে তৈরি করা হয় ফাঁদ। টোঁপ হিসেবে দেয়া হয় আলু। ইঁদুর আলু খেতে এসে আটকা পড়ে ফাঁদে। এ বছর এভাবে তিনি ৮০০ ইঁদুর ধরেছেন।
বলছিলাম যোহান হাসদা কথা। তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বারোকোনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। চলতি মৌসুমে তিনি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি করে ইঁদুর মেরেছেন।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোহান হাসদাকে পুরস্কৃত করা হয়। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাকিবুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল মোমিনীন মোমিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুকশানা বারী রুকু, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম ও সাজেদুর রহমান।
যোহান হাসদা বলেন, ইঁদুর ফসল ও কৃষকের শত্রু। কৃষি কাজ করতে গিয়ে তিনি এটি বুঝতে পারেন। এরপর থেকে তিনি নিজস্ব কৌশলে ইঁদুর ধরা শুরু করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ বছর ইঁদুর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ধান, চাল, গম ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি করেছে। ইঁদুরের উপদ্রব এখন জাতীয় সমস্যা। ফসলসহ মানুষের সম্পদ রক্ষার্থে ইঁদুর নিধন কার্যক্রম সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।
পার্বতীপুর (দিনাজপুর)/সোহেল সানী/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন