ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘শ্রমিকদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ৯ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘শ্রমিকদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার’

আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে এবং তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অর্থনীতি শুধু কৃষির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিনি, শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের ভাগ্যোন্নয়ন হয়েছে। শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা এবং তাদের পরিবারের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। আমরা এটাই করতে চাই। এই নীতি নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করি।’

৯৬-তে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের বেতন-মজুরি বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়। আগে ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা বেতন/মজুরি পেতো শ্রমিকরা। আমরা সেটা বাড়িয়ে ১৬ টাকায় করেছি। কিন্তু আমরা কার্যকর করে যেতে পারি নি। বিএনপি এসে ২০০৬ সালে সেটি কার্যকর করে, কিন্তু আমাদের শ্রমজীবী মানুষরা তার কোনো শুভ ফল পায়নি।’

‘২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা পর্যায়ক্রমে বেতন-মজুরি বৃদ্ধি করেছি। আজকে আমরা শ্রমিকদের যে বেতন সেটি ৩৮০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৮ হাজার টাকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।’

শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন নীতিমালা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য অনেকগুলো আইন আমরা করেছি। শিশু শ্রম নিরসনের দিকে খেয়াল রেখে শিশুশ্রম নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করেছি, বাংলাদেশ শ্রম নীতিমালা ২০১২, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য-ওএসএইচ নীতিমালা ২০১৩, গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন ২০১৫ আমরা বাস্তবায়ন করেছি।’

জাতীয় শ্রম নীতির মাধ্যমে চাকরিকালীন সময় ৫৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৬০ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করেছি। তারা যেন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশ যেতে পারে এবং পরিশোধ করতে পারে। সেজন্য এই ব্যাংক। কাজেই অনুরোধ থাকবে আমাদের যে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার আছে, তার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে কোথায় কী কাজ করতে যাচ্ছেন, সেই তথ্য নিয়ে বিদেশে যাওয়া উচিৎ। ’

শ্রমিক সেবা বাড়াতে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ইতোমধ্যে শ্রমিক পরিদর্শনের একটা ব্যাপার রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে। এজন্য শ্রমিক পরিদর্শন অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এর কার্যক্রম শুরুও হয়েছে। অ্যাপে অনলাইনের মাধ্যমে যাতে পরিদর্শন করে শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করা যায় অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিকদের কল্যাণ সাধান করা যায়।’

আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিক বান্ধব হওয়ার কারণে দেশে ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ২০১৩ সালে যেখানে তৈরি পোশাক খাতে ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা ছিলো মাত্র ৮২টি, সেখানে আজকে ৮৮২টি ট্রেড ইউনিয়ন হয়েছে। তাছাড়া সমস্ত সেক্টরে আমাদের ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৪টি। জানি না পৃথিবীর উন্নত দেশেও এতগুলো ট্রেড ইউনিয়ন আছে কি না আমার সন্দেহ।’

এ সময় তিনি জানান, রাজধানীর বিজয়নগরে ২৫ তলা শ্রম ভবন নির্মাণ করছে সরকার। শিগগিরই এটি উদ্বোধন করা হবে।

এর আগে সকালে সাদা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শ্রমিক লীগের ১২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় তার পাশে দলেল সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা/পারভেজ/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়