সাম্যের ভিত্তিতে শান্তিময় বিশ্ব গড়ার আহ্বান

সাম্যের ভিত্তিতে শান্তিময় বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার কম্বোডিয়ায় এশিয়া প্যাসিফিক সামিট, ২০১৯-এ ‘এড্রেসিং দ্য ক্রিটিক্যাল চ্যালেঞ্জেস অব আওয়ার টাইম : পিস, রিকনসিলিয়েশন, ইন্টারডিপেনডেন্স, মিউচুয়াল প্রসপারিটি অ‌্যান্ড ইউনিভার্সাল ভ্যালুজ’ শীর্ষক উদ্বোধনী সেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা এখন সকলের। এটা কোনো ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস, উদ্বাস্তু প্রভৃতি সমস্যার আশু সমাধানে বিশ্বকে একসাথে কাজ করতে হবে। এশিয়া প্যাসিফিক সামিট এই অঞ্চলের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনগণের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সকলের একতাবদ্ধ প্রচেষ্টায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্যের ভিত্তিতে টেকসই ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়ন-বিস্ময়। বিগত এক দশকে দারিদ্র্য ৪০ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশের ৯৫ ভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। পাঁচ হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জিত হচ্ছে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

তিনি আরো বলেন, অসমতা, বৈষম্য, বেকারত্ব ও দারিদ্র‌্যের মতো জটিল বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়েই গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে। এক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। তাছাড়া, নারীদেরকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব‌্য রাখেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। আরো বক্তব‌্য রাখেন মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ হেনরি ভেন থিও, ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশনের কো-ফাউন্ডার হাক জা হান মুন, রিপাবলিক অব পালাউয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেনল্ড ওইলচ এবং ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জাসুফ কালা।

 

ঢাকা/আসাদ/রফিক