ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কর্মসংস্থানের চেয়ে উদ্যোক্তা তৈরি জরুরি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২০ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কর্মসংস্থানের চেয়ে উদ্যোক্তা তৈরি জরুরি

কর্মসংস্থানের চেয়ে উদ্যোক্তা তৈরি জরুরি। উদ্যোক্তার মাধ্যমেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ মন্তব্য করেন।

‘বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়ন: জার্মানির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা’- শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন ও জার্মান ফ্রেডেরিক এবার্ট স্টিফটুং। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা। আমরা দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই। তবে কর্মসংস্থানের চেয়ে উদ্যোক্তা তৈরি জরুরি। দেশের ২০ থেকে ২৫ লাখ তরুণ রয়েছে। এই তরুণরা উদ্যোক্তা হলে কর্মসংস্থান সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জার্মানির কাছ থেকে পাওয়া অর্থ সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এখন থেকে এসএমই খাতের উন্নয়নেও ব্যয় করা হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে জার্মানি তিন খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে বছরে ৪০ কোটি ডলার সহায়তা করে থাকে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এখন থেকে এই খাতকেও সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে এই গবেষণার সুপারিশ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি এসএমই ফাউন্ডেশনের বোর্ড সভায়ও এ নিয়ে আলোচনার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সেই সাথে এসএমই ফাউন্ডেশনকে এই গবেষণার ফল কাজে লাগাতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৭৮ লাখেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিয়ে সহায়তা দেয়া হলে এগিয়ে যাবে পুরো এসএমই খাত ও অর্থনীতি। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পের অবদান ১২ দশমিক ছয় ভাগ থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে ১৪ দশমিক ১ ভাগ হলেও ক্ষুদ্র শিল্পের অবদান ৫ দশমিক এক ভাগ থেকে কমে হয়েছে ৩ দশমিক ২ ভাগ। অথচ দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মোট শিল্পের ৮৩ দশমিক ৭ ভাগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলীলী’র নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন ড. মো. জামাল উদ্দিন, ড. মো. শরিয়ত উল্লাহ এবং ড. মো. তারেক।

এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে এই গবেষণা তদারকি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. এম মাহবুব রহমান।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, জার্মানি প্রযুক্তি ও বাজারজাত ব্যবস্থাপনায় দক্ষ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়তে বাংলাদেশ জার্মানির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি উইংয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এফইএস, বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি টিনা ব্লম প্রমুখ।


ঢাকা/হাসান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়