‘আইন প্রয়োগে অহেতুক বাড়াবাড়ি হবে না’

সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতির সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিক-শ্রমিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও বাস চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এর কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আর কোনো কারণ নেই। আইন প্রয়োগে অহেতুক বাড়াবাড়ি হবে না। বাড়াবাড়ি না হলে সমস্যাও হবে না।’

তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি গাইড করছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এনশিওর করেছেন যে, তারা সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ করবেন। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যদি কিছু অসঙ্গতি পাওয়া হয়, তাহলে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমরা আইনের বিধিমালাও প্রণয়ন করছি। সেটাও আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব।’

পরিস্থিতি এখন আর অস্বাভাবিক হওয়ার কোনো কারণ নেই, দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিক-শ্রমিকদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তারা জনস্বার্থে ধর্মঘট তুলেছে।’

আইনের বিধিমালা প্রণয়ন হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে, এ আশা ব‌্যক্ত করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, ‘আইনটাই সবকিছু নয়। বিধি তৈরি হচ্ছে, প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিধি পেলে এসব নিয়ে আইনে কোনো সংকট থাকবে না। জেব্রা ক্রসিং, সাইন অ‌্যান্ড সিগনাল- এগুলো বিধিতে আছে। মূল বিষয়টা হলো শৃঙ্খলা। সড়কে ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। সেটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট, আর সেটাই আমাদের ফোকাস।’

দ্রব্যমূল‌্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা নাজুক অবস্থায় নিপতিত। এখন নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে অনেক মিথ্যা কথা বলতে হয়। সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলতে হয়। এগুলো বলার জন্যই বলছে, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে।’

তিনি বলেন, ‘যে নেত্রীর কথা বলে আমাদের উপদেশ দেয়ার কথা বলছেন, সেই নেত্রীর জন্য একটা আন্দোলনও কোথাও করতে পারেননি। এখন বেপরোয়া চালকের মতো তারা বেপরোয়ার রাজনীতি করছে। বেপরোয়া চালকের মতো যেকোনো সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।’

বিএনপি চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে, অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা জানে, জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য তারা এখন চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের এখন কাজই হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব সৃষ্টি করা, গুজবের ডাল-পালা ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। এই দলটা সব সময় কোনো একটা ইস্যু খোঁজে আন্দোলন করার জন্য। যখনই যেটা পায় সেটাকে আঁকড়ে ধরে। সবশেষে পরিবহনেও ব্যর্থ হয়ে এখন তারা হতাশ। গুজবের ওপর ভর করে রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে গুজব ছাড়ানোর। এর ফলে দিনের পর দিনেই কেবল সংকুচিতই হচ্ছে তারা।’



ঢাকা/পারভেজ/রফিক