আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন

সিঙ্গাপুরের অ্যাকুয়েস্টিক ডিজাইনে আন্তর্জাতিক মানের মিলনায়তনে উপনীত করা হচ্ছে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।

চলছে সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ। একেবারে নতুন করে সাজানো হচ্ছে হলটি। আসন বিন্যাসে আনা হয়েছে নতুনত্ব।

২০২০ সালের জুন মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত মেয়াদের প্রায় সাত মাস পূর্বে শেষ হচ্ছে ওসমানী মিলনায়তনের সংস্কারকাজ।

চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক মানের এ মিলনায়তনটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

নবাব আব্দুল গণিরোডে অবস্থিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামে নামকরণে প্রায় চার দশকের পুরনো এ মিলনায়তনটি সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়নের জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ শুরু করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

গণপূর্ত অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর করতে বড় ধরনের কর্মযজ্ঞ শুরু করে সরকার। মিলনায়তনটি আধুনিকায়নের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে অ্যাকুয়েস্টিক ডিজাইন করে আনা হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধীবান্ধব আসন ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবিধার্থে তাদের হুইল চেয়ার বহনযোগ্য লিফট স্থাপন করা হয়েছে।

হলে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমসহ যুগোপযোগী অডিও আউটপুটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। লাগানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইটিং এর ব্যবস্থা। মিলনায়তনে একটি ভিভিআইপি অফিস ও দুটি কনফারেন্স রুম নির্মাণসহ হলের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। নেটওয়ার্কিং ওয়াইফাই ও এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে হলটিতে। রুচিশীল ও আধুনিক স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী সংস্কারের মাধ্যমে এ মিলনায়তনে পরিশীলিত ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন করে সাজানো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপি। এসময় তার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসিরসহ মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্তমন্ত্রী মিলনায়তনের নির্মাণকাজ ঘুরে দেখেন এবং এটি পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/হাকিম মাহি