ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণের বিকল্প নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণের বিকল্প নেই’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণের বিকল্প নেই। ’

রোববার রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জলবায়ু অভিযোজন সম্পর্কিত উপ-আঞ্চলিক কর্মশালার সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন প্রিজম কলকাতার নির্বাহী পরিচালক ড. অনিরুদ্ধ দে, বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু প্রমুখ।

তিনি বলেন, “ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। বন্যা, সাইক্লোন, ঘুর্ণিঝড় ছাড়াও ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছি আমরা। মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে দেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ হবে তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। তাই, ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণের বিকল্প নেই। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ’

‘আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে জাপানের মতো একটি ভূমিকম্প দুর্যোগ সহনীয় দেশ উপহার দিতে সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে পুরাতন ভবনগুলো সংস্কার করে ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হবে। আমাদের দেশের প্রকৌশলী ও স্থপতিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে যেনো ভূমিকম্প সহনীয় ভবন ও অন্যান্য স্হাপনা নির্মাণে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মহাদেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আইপিসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে এবং এর ফলে পাহাড়ে জমে থাকা বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ বর্তমান সময়ের তুলনায় বার্ষিক গড় তাপমাত্রা বাড়বে ১.০ থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চরম আবহাওয়ার কারণে তীব্র বন্যা ও সামুদ্রিক ঘুর্ণিঝড় বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে চরমভাবে। যেটা জনগণের জন্য দুর্যোগ বয়ে আনবে। ’

‘জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে যেমন দারিদ্র কমানো, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসহ প্রশাসনিক সকল ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলায় প্রায় চার কোটি লোকের বসবাস। এদের ভবিষ্যতের উন্নয়নের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছি।”


ঢাকা/আসাদ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়