ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

৩ লাখ দক্ষ চালক তৈরি করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১১, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩ লাখ দক্ষ চালক তৈরি করবে সরকার

সরকার তিন লাখ দক্ষ চালক তৈরি করবে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র।

নিরাপদ ও আরামদায়ক রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) গঠন করা হয়। বিআরটিসির মূল মিশন-গুলো হলো- যাত্রী পরিবহন, পণ্য পরিবহন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানব সম্পদের উন্নয়ন এবং মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ।

বিআরটিসির মিশনগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষায় নিরাপদ সড়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে বিআরটিসির তত্ত্বাবধানে ভারী যানবাহনের চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক লাইসেন্সিং এর আওতায় আনা হবে। এ লক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে ‘ভারী যানবাহন চালক তৈরির লক্ষে প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭৭ কোটি টাকা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর প্রকল্পটি চলতি বছরের অক্টোবর থেকে জুন ২০২৫ সালে বাস্তবায়ন করবে বিআরটিসি। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রশিক্ষণ প্রদানপূর্বক দক্ষ গাড়ি চালক তৈরির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন হবে। এর মাধ্যমে তিন লাখ উন্নত ভারী যানবাহনের চালক তৈরি করা হবে।

বিআরটিসির নিজস্ব ট্রেনিং কেন্দ্রসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে এসকল চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া। প্রতিটি মডিউল প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষক সমন্বয়ে পরিচালিত হবে। ড্রাইভারদের নিরাপদ ড্রাইভিং সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসরণে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আলোচ্য প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জনশক্তি হিসেবে দেশের বাজারে উচ্চ বেতনের চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ প্রশিক্ষণের প্রথম মডিউল দুই সপ্তাহ ও দ্বিতীয় মডিউল চার সপ্তাহের হবে। এতে যথাক্রমে দুই লাখ ও এক লাখ চালক অংশগ্রহণ করতে পারবে। দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ৭২ ঘণ্টা তাত্ত্বিক ক্লাসের পাশাপাশি ড্রাইভিং সম্পর্কে পরিচিতি, ট্রাফিক আইন নিয়মনীতি ও শাস্তি, মোটরযান চালানো, ভারী যানবাহনের প্রাথমিক সার্ভিসিংসহ বিভিন্ন বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, রাস্তাঘাটের নিরাপত্তা কার্যক্রম প্রকৌশলগত উন্নয়ন ও রোড সিকিউরিটির জন্য জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে এবং সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করতে হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ভারী যানবাহনের ড্রাইভার তৈরি হবে, যারা সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ সরকার এসডিজির অনুস্বাক্ষরকারী দেশ এবং প্রকল্পটি সরাসরি এসডিজির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত গাড়ি চালকদের বিদেশে পাঠিয়ে রেমিটেন্স আহরণে একটি বড় খাতে উন্নীত হবে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য, হালকা অথবা মধ্যম লাইসেন্স-ধারী চালকগণ যাদের ভারী যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা আছে, তাদের দুই সপ্তাহ মেয়াদী ভারী যানবাহন চালানোর উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। হালকা ও মধ্যম লাইসেন্স-ধারী চালকগণ যাদের হালকা যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা আছে তাদের চার সপ্তাহ মেয়াদী ভারী যানবাহন চালানোর উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশে ও বিদেশে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।


ঢাকা/হাসিবুল/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়