‘বং’ আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধন
কেএমএ হাসনাত,কলকাতা থেকে || রাইজিংবিডি.কম
কলকাতা ভিত্তিক ‘বং আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফিক এক্সজিবিশন-২০১৯’ শুক্রবার কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন গোলাম রসুল রোডের ‘গোল্ড গ্যলারিতে’ শুরু হয়েছে।
এ প্রদর্শনী চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রিট ফটোগ্রাফার খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার নভীন ভাস্তা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার ও ক্যামেরা বিশেষজ্ঞ সুতানু দা যৌথভাবে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ভিত্তিক ফটোগ্রাফি গ্রুপ ডি’ফটোক্যাফে’র প্রধান অ্যাডমিন শরিফুল উদ্দিন অপূর্ব, অ্যাডমিন তানিয়ার রহমান এবং ভারত, বাংলাদেশ, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ফটোগ্রাফাররা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনী চলাকালে ফটোগ্রাফি নিয়ে প্রতিদিন একাধিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং ফটোওয়াকের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ফটোগ্রাফাররা অংশ নিচ্ছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দিল্লীর স্ট্রিট ফটোগ্রাফি বিশেষজ্ঞ নভীন ভাস্তা বলেন, কলকাতার ‘বং ফটোগ্রাফী’ সব সময় আন্তর্জাতিক মানের এক্সিবিশন করে আসছে। তাদের অনুপ্রেরণায় নতুন নতুন ফটোগ্রাফার সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। যত প্রতিযোগিতা হচ্ছে ফটোগ্রাফারদের গুনগতমান তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা অত্যন্ত আশাপ্রদ।
তিনি আরো বলেন, এবারের প্রদর্শনীতে একক দেশ হিসেবে ভারতের পর বাংলাদেশের অবস্থান। সত্যি এটা খুব আশাব্যঞ্জক। এ জন্য ‘বং’ অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। প্রদর্শনীতে যে সব ছবি প্রদর্শীত হচ্ছে তা অত্যন্ত সুচারুভাবে বাছাই করা হয়েছে। ছবির গুনগত মান নিয়ে কারো কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে ‘বং’ এর ফটোপ্রদর্শনীর আরো ব্যাপ্তি হবে। ‘বং’ কর্তৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি উচ্চমানের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য।
সুতনু দাস বলেন, ফটোগ্রাফি বিভিন্ন দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য তুলে ধরে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ করে।
বাংলাদেশর জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘রাইজিংবিডি ডটকমের’ বিশেষ প্রতিবেদক কেএমএ হাসনাতের দুটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার আলোকচিত্র থেকে ২০০টি আলোকচিত্র প্রদর্শীত হচ্ছে। কেএমএ হাসনাতের একটি ‘জাপানি শালিক’এর ছবি রয়েছে অন্যটি একটি ‘সারস পাখির’ ছবি। জাপানি শালিক বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে একটি বিরল প্রজাতির পাখি বলে পাখি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
এ যাবত পাখিটি বাংলাদেশে দেখা যায়নি। চলতি বছর প্রথম দিকে হবিগঞ্জের ‘সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে’ একদিনের জন্য পাখিটি দেখা যায়। ওই একদিন মাত্র কয়েকজন ফটোগ্রাফার পাখিটি দেখতে পেরেছেন। এ পাখিটি বাংলাদেশ ছাড়াও এর আগে শুধু মিয়ানমারে কয়েক বছর আগে দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশে পাখিটি দেখা যাওয়ায় পাখি বিশারদরা এ নিয়ে গবেষণা করছেন। বাংলাদেশের মোট ২০ জন ফটোগ্রাফারের আলোকচিত্র প্রদর্শীত হচ্ছে।
কেএমএ হাসনাত পেশায় সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন সৌখিন ওয়াইল্ড ফটোগ্রাফার। তিনি বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফি অ্যাসোসিয়েশন (বিএফপিএ) এর সহ-সভাপতি, বার্ড বাংলাদেশের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যতম ফটোগ্রাফি গ্রুপ ডি’ফটোগ্রাফি’র উপদেষ্টা হিসেবে জড়িত। এর আগে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে তার ছবি প্রদর্শীত হয়েছে। রাইজিংবিডি’র সহযোগিতায় প্রদর্শনীতে যোগ দিতে তিনি বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন।
কলকাতা/হাসনাত/জেনিস
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন