ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে’

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে।’

শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে 'জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা ২০১৯' এর চূড়ান্ত পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, “আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং জাতি গড়ার কারিগর। তাদের কাছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

‘দুর্ভাগ্যজনক হলো, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীকে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেয়া হয়নি। দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিজয়ফুল প্রতিযোগিতা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।”

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মোকাম্মেল হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন মানবিক মানুষ গড়া সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন দেশব্যাপী সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চা ও সাংস্কৃতিক জাগরণ। দেশপ্রেমের মনোভাব নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই কেবল মানুষের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস।

নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানাবার উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বিজয়ফুল’ তৈরি, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও, চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং দলগত দেশাত্ববোধক ও জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ২০১৯ আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। এরপর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। পরে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা ও বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

ঢাকা/আসাদ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়