ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অবশেষে গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে

সংসদ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ২১ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অবশেষে গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের প্রকল্পের তালিকায় থাকলেও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজে তেমন গতি না আসলেও শেষপর্যন্ত বাস্তবায়নের উদ‌্যোগ নেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ‌্যেই প্রকল্প অনুমোদনের জন‌্য তোলা হবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেটিও তিনি জানিয়েছেন প্রকল্পটির মূল অর্থদাতা ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সীর (জাইকা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ই।

প্রতিমন্ত্রীর অফিসে জাইকার বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতোশি হিরাতা দেখা করতে আসেন। জাইকার বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভও প্রকল্প বাস্তবায়নে অফিসিয়াল কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।

প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। শীঘ্রই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, যুগ্মপ্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়াতারু ওসাওয়া এবং প্রিন্সিপাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার আহমদ মুকামমেলুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ‘মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি’ নামে গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭ শত ৭৭ কোটি টাকা। জাইকার অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে। এতে জাইকার ঋণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার ২৬ শত কোটি টাকা এবং বাদবাকি ২২ কোটি টাকা খরচ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের মধ্যে অন্যান্য কাজের সঙ্গে প্রায় ২৮ কিলোমিটার চারলেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মিত হবে, যার আওতায় ১৭টি সেতু থাকবে। ১৭টি সেতুর দৈর্ঘ‌্য প্রায় সাত কিলোমিটার। প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৬ সাল নাগাদ। এটি বাস্তবায়িত হলে ১৯ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দরে আসতে পারবে।


ঢাকা/আসাদ/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়