সাংবাদিক নির্যাতন-হেনস্থার প্রতিবাদ
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ও পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি। সাংবাদিক নির্যাতন ও হেনস্থার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ ও দাবি জানানো হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সুর্য বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হেনস্থার ঘটনায় জড়িতদের আগামী শনিবারের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার পাইনি। আমরা অনশন করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।
সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, নির্যাতিত সাংবাদিকদের অপরাধ- তারা সত্য সংবাদ সংগ্রহের কাজ করতে নেমেছিল। বাকস্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্র, মানবতার জন্য সাংবাদিকরা লড়াই করে আসছি। কিন্তু আমরাই মার খাচ্ছি। যে কারণে গণমাধ্যমকর্মী আইন আজও পাশ করা হয়নি। ওয়েজবোর্ড পাশ করা হলেও তা কার্যকর করা হয়নি।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সরকার যেসব ঘটনা সিরিয়াসলি নিয়েছে, সেসবের বিচার হয়েছ। সম্প্রতি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যেন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন।
ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করাটা যেন সহজ হয় গেছে। স্বাধীনতার পর থেকে যত সাংবাদিককে নির্যাতন, হেনস্তা, হত্যা করা হয়েছে কোনোটার বিচার হয়নি। আমরা চাই, বিচার হোক। আশা করছি, দ্রুত আসামিরা গ্রেপ্তার হবে।
রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান মাকসুদ বলেন, আজ মোস্তাফিজুর রহমান সুমন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আমাদের নিরাপত্তা দিতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
নির্যাতিত সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেন জিসান বলেন, অফিস এবং ইসির ইস্যু করা বৈধ কার্ড নিয়েও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। শার্টের কলার ধরে টেনে বের করে দিয়েছে। মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। এলাকা ছেড়ে চলে যাবার শর্তে মোবাইল ফিরিয়ে দিয়েছে। মাথা নিচু করে আমাকে ভোটকেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসতে হয়েছে। এটা সাংবাদিক হিসেবে আমার জন্য লজ্জার। আমি এখন ট্রমার মধ্যে আছি।
আগামী রোববার সাংবাদিক নির্যাতন, নিপীড়ন, হেনস্থা, কর্তব্যে বাধার প্রতিবাদে ও আহত সাংবাদিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের ডাক দেন আবু জাফর সুর্য। সমাবেশ শেষ বিক্ষোভ মিছিল করেন সাংবাদিকরা।
ঢাকা/নূর/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন