ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৯২ হাজার মেগাওয়াটের স্থাপনা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৯২ হাজার মেগাওয়াটের স্থাপনা প্রয়োজন

২০২১ থেকে ২০৪১ সালে মধ্যে নির্ধারিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হবে ৯২ হাজার মেগাওয়াটের এক বিশাল স্থাপনা। যার বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৪ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

আজকের সভায় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য নিরসনের গুরুত্ব দিয়ে দেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উন্নত দেশে যেতে ২০ বছর মেয়াদী এ পরিকল্পনটি তৈরি করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।

সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, খসড়া পরিকল্পনায় বলা হয়েছে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর জন্য নির্ধারিত উদ্দেশ্যাবলি ও অভীষ্টে একটি উচ্চ আয়ের অর্থনীতির জন্য দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সঠিক ও সচল পথে পরিচালনার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ও নীতিমালার মূল উপাদানগুলো হচ্ছে, নূন্যতম ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিস্তারের পন্থা অনুসরণ করা হবে।

এছাড়া স্বল্পমূল্যে প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ করা। প্রাথমিক জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ। উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের মধ্যে বিনিয়োগ ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ। প্রতিষ্ঠিত সক্ষমতার দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতকণ। জ্বালানিতে বেসরকারি বিনিয়াগ উৎসাহিত করা। বিদ্যুৎ বাণিজ্যের অধিকতর বিস্তার। জ্বালানির উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ নীতি নিশ্চিতকরণ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ করার কৌশল নেয়া হয়েছে।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা থেকে যানা গেছে, ২০৪১ এর জন্য নির্ধারিত উদ্দেশ্যাবলি ও লক্ষ্যমাত্রা একটি উচ্চ আয়ের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সঠিক ও সচল পথে ধাবিত করবে। গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ও নীতিমালার মূল উপাদানসমূহ নিম রুপঃ ১। ন্যূনতম ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিস্তারের পন্থা অনুসরণ ( ২ ) স্বল্পমূল্য প্রাথমিক জ্বালানির সরবরাহ বৃদ্ধি (৩) প্রাথমিক জ্বালানির জন্য প্রয়ােজনীয় অবকাঠামাে নির্মাণ (৪) উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরলের মধ্যে বিনিয়োগ ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ (৫) প্রতিষ্ঠিত সক্ষমতার দক্ষ ব্যবহার বৃদ্ধি (৬) জ্বালানিতে বেসরকারি বিনিয়োেগ উৎসাহিত করা (৭) বিদ্যুৎ বাণিজ্যের অধিকতর বিস্তার (৮) জ্বালানির উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ নীতি নিশ্চিতকরণ এবং (৯) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কৌশলের মূল লক্ষ্য হবে নতুন চাহিদা মেটানাের পাশাপাশি বিদ্যমান চাহিদা ব্যবধানের অবসান। একটি বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনা ( পিএসএমপি ) প্রণয়নের ব্যাপারে বাংলাদেশের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এ উক্ত মহাপরিকল্পনা ২০১৬ - এর আলােকে একটি বিদ্যুৎ বিস্তার কৌশল গ্রহণ করা হবে এবং এর অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষার ভিত্তিতে প্রতি ৫ বছর অন্তর এই কৌশল হালনাগাদ করা হবে। বাংলাদেশের সকল অংশ যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণের সুফল ভােগ করতে পারে এবং এভাবে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করার স্বার্থেই সঞ্চালন ও বিতরণে উপযুক্ত বিনিয়োগের। সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে অবশ্যই সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এ এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরু দেয়া হবে যাতে কিছুতেই বিদ্যুতের অলস উৎপাদন সক্ষমতার অপচয় না ঘটে এবং জেলা পর্যায়ের উন্নয়নে বিদ্যুৎ বিভাটের চুড়ান্ত অবসান হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি (২০১০-২০২১) তৈরি করা হয়। এটি বাস্তবায়ন এনইসিতে করা হয় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১০-১৫) ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) মাধ্যমে। ফলে  ২০০৯ সালের ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে বেড়ে এখন ৮ শতাংশের ঘর অতিক্রম করেছে।

এসময় পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গীস এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা/ হাসিবুল/নাসিম 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়