ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষায় নজর প্রধানমন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষায় নজর প্রধানমন্ত্রীর

ফাইল ফটো

প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কারিগরি, বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার তেজগাঁওয়ে নিজের কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই যে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা আমরা বলছি। এখানেও আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে সেভাবে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ, প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে এবং সেটা আরো বিকশিত হলে সেখানে আমাদের জনশক্তি লাগবেই।

‘আমাদের জনসংখ্যাকে আমরা যদি কারিগরি, বিজ্ঞানভিত্তিক এবং প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে সেইভাবে দক্ষ করে যদি গড়তে পারি তাহলে আমাদের কোনো সমস্যাতো কোনদিন হবেই না, বরং আমরা অন্য দেশকে সাহায্য করতে পারব।”

দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমরা কাউকেই অবহেলা করতে চাই না। যে কারণে, আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে অনার্স কোর্স চালু এবং প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কওমি মাদ্রাসাকেও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি এবং দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দিয়েছি। কারণ, তাদেরকেও আমরা সমন্বিত শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। একই ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসতে চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সর্বোচ্চ নম্বর/সিজিপিএ প্রাপ্তদের হাতে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক-২০১৮’ তুলে দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে স্বর্ণ পদক বিতরণ করেন। যাদের মধ্যে ৮৪ জন ছাত্র এবং ছাত্রী রয়েছে ৮৮ জন। ২০১৭ সালে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক লাভ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ইউজিসিকে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর ও নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে প্রত্যেক উপজেলায় কারিগরি স্কুল, কলেজ এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যার যেভাবে শিক্ষা গ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে কাজ করার দক্ষতা রয়েছে, সে সেভাবেই শিক্ষালাভ করতে পারবে। সুযোগটা সৃষ্টি করে দেওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।’

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাস করে দেওয়ায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অ‌্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ‘জবাবদিহিতা’ নিশ্চিত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতে এটা ছিল না। যে যার মতো একখানা বিশ্ববিদ্যালয় করতো। এক বিল্ডিংয়েই দেখা যায় তিনটা বিশ্ববিদ্যালয়। আমার কাছে অবাক লাগতো।’

সারাদেশে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার মেরিন অ‌্যাকাডেমির সঙ্গে মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় করেছে, ডিজিটাল, টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং বিশ্ববিদ্যালয় ও করেছে। একইসঙ্গে লালমনিরহাটে একটি অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ও করছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতিটি জেলাকে ভাগ করে, কোথায় কোনটা প্রতিষ্ঠা করা হবে, তা ঠিক করে দিচ্ছি। যাতে কেবল রাজধানীকেন্দ্রিক উন্নয়ন না হয়। শিক্ষার প্রসারকে আমরা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। পড়াশোনার বহুমুখী করণের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশকে এগিয়ে নেওয়াই এর উদ্দেশ্য।’

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ টেকনোলজি’র শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের শারমিন সুলতানা অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য করেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

 

ঢাকা/পারভেজ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়