ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ৫ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে’

দাওয়াতে ইসলামীর সুন্নাতে ভরা ইজতিমার দ্বিতীয় দিনে মুসল্লি আরো বেড়েছে। রাতের বৃষ্টিতে কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করলেও মুসল্লিতে কানায় কানায় পুর্ণ রাজধানীর সিভিল অ‌্যাভিয়েশন ময়দান। বিশাল প্যান্ডেল ছাড়িয়ে মুসল্লিরা এখন রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন।

তিনদিন ব্যাপী এই ইজতিমায় দেশ-বিদেশ থেকে আসা আশেকে রাসূলদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পুলিশে কড়া নিরাপত্তায় সুন্দর ব্যবস্থাপনায় চলছে ইজতিমা।

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনেও বিষয়ভিত্তিক বয়ান অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেহাদের নামে বিশ্বব্যাপী চলমান জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বিশেষ বয়ান হয়।

জেহাদের নামে জঙ্গিবাদ ইসলামের কলঙ্ক উল্লেখ করে দাওয়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ কামাল আত্তারী বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। জঙ্গিবাদ নয়, মানবিকতা ও অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে। তাহলে মানুষ ইসলামের সুশিতল ছায়ায় আসবে।

তিনি বলেন, জেহাদের নামে দেশের তরুণ ও যুবকদের বিপদগামী করা হচ্ছে। বোমা মেরে, মানুষ খুন করে খেলাফত প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের জেহাদ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেই জেহাদ প্রকৃত জেহাদ নয়। আর তা ইসলামের জন্য আত্মত্যাগও হবে না। বরং তারা আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহবায়ে কেরাম ও আউলিয়া বুজুর্গানদের আদর্শ থেকে দূরে সরে গিয়ে জঙ্গিবাদের মাধ্যমে প্রকৃত জেহাদ ও আত্মত্যাগকে বিতর্কিত করে ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করছে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করছে।

বিশ্বের মুসলমানদের দূরাবস্থা বর্ণনা করে কামাল আত্তারী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এটা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলে বায়াত, সাহাবায়ে কেরাম ও অলি আল্লাহরা কখনও খুন করা তো দূরে, কথার দ্বারা কোনো মানুষকে কখনও কষ্ট দেননি। জান-মাল কোরবান করে হৃদয়ের সব ভালোবাসা উজাড় করে দিয়ে ইসলামের নেকীর দাওয়াত দিয়েছেন। মানুষের মন জয় করেছেন। হাত ও জবান থেকে মানুষকে নিরাপদে রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে কুরআন তেলওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল থেকে হালাল উপার্জনের বরকত ও হারাম উপার্জনের ক্ষতি সমূহ, সত্যবাদিতার বরকত ও মিথ্যাচারের ক্ষতিসমূহ, জান্নাত, উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামর বিশেষত, দ্বীনের জন্য কোরবানি ও রাহে খোদায় সফরের গুরুত্ব, মৃত্যু হতে শিক্ষাগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে কোরআন-হাদিসের দলিলভিত্তিক বয়ান দেন দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগ মোহাম্মদ ইমরান আত্তারী, মাওলানা সালাহউদ্দীন আত্তারী, কাওসার আত্তারী, মোহাম্মদ সাজিদ আত্তারী।

দাওয়াতে ইসলামীর যিম্মাদার মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী জানান, আলহামদুলিল্লাহ, সরকারের বিভিন্ন মহলে সহযোগিতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা আর লাখো আশেকে রাসূলের উপস্থিতিতে সুন্নাতে ভরা ইজতিমার কর্মসূচি চলছে। ইজতিমায় শুধু বয়ান নয়, এখানে মুসল্লিদের নামাজসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেখানো হচ্ছে।

শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের আগে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। নামাজ শেষে সালাতু-সালাম, মিলাদ-কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়