ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

জেলা জজের বদলি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ: সুজন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ৭ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জেলা জজের বদলি  বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ: সুজন

দুর্নীতির মামলায় জামিনের আদেশ নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চার ঘণ্টার মধ্যেই পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজকে ঢাকায় বদলি করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মনে করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।  শনিবার ( ৭ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক  ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পিরোজপুরে দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের  জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ।  ওই আদেশের পর চার ঘণ্টার মধ্যেই বিচারককে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ।

সুজনের মতে,  এ ঘটনা আদালতের ওপর রাজনৈতিক তথা ক্ষমতাশালীদের প্রভাব বিস্তারের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।  আইন মন্ত্রণালয়ের এমন আচরণ রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার শামিল। এর ফলে বিচারিক আদালতের সব সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো।

একই সঙ্গে মাসদার হোসেন মামলার রায় অনুসরণ করে বিচার বিভাগকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করে সুজন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ একটি দুর্নীতির মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক । এই আদেশের পর আসামিদের অসুস্থতার কথা বলে তাদের আইনজীবী আদালতে চিকিৎসা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এসময় তাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা ও ডিভিশন দেওয়ার আবেদন করেন। বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিচারক ডিভিশনসহ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বেলা তিনটার দিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সযোগে পাঠানো এক চিঠিতে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নানকে ঢাকায় বদলির কথা জানানো হয়।

এদিকে, জেলা ও দায়রা জজকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত  হয়ে এক রুলে আইন সচিব ও উপসচিবকে (প্রশাসন-১) দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেন।


ঢাকা/এম এ রহমান/হক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়