ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সহানুভূতি জানিয়ে বরিস জনসনকে শেখ হাসিনার চিঠি

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৯ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সহানুভূতি জানিয়ে বরিস জনসনকে শেখ হাসিনার চিঠি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য সহানুভূতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৭ মার্চ) বরিস জনসনের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে দেশটি।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারোয়ার-ই-আলম শনিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস থেকে দ্রুততম সময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করেন।

চিঠিতে তিনি বলেছেন, তার সরকার মারাত্মক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বিশ্বজুড়ে উপস্থিত হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

‘আমাদের সরকার পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যমান সহযোগিতার চেতনায় সবসময় এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে এবং সফল হওয়ার সংকল্পে প্রস্তুত রয়েছে’।

করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলার এই লড়াইয়ে বাংলাদেশে বরিস জনসনের গতিশীল নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য গৃহীত পদক্ষেপ, যেমন লকডাউন,আর্থিক প্রণোদনার মতো কর্মসূচিগুলো অনুসরণ করছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তার সরকারের পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী এই মহামারি সম্পর্কে উদ্বেগকে অনুধাবন করে সরকার সংকটের শুরু থেকেই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।

‘আমরা জানুয়ারি মাস থেকেই আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগত সন্দেহভাজনদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং এবং সেইসঙ্গে আলাদা কোয়ারেন্টাইন জোনের ব্যবস্থা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার এবং এর বিভিন্ন ধরন মোকাবিলার জন্য একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় কমিটি সহ বিভিন্ন মাত্রার টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।

‘আমরা মনোনীত হাসপাতালগুলি প্রস্তুত করেছিলাম এবং আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে সজ্জিত করেছি। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেই এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে এর বিস্তার রোধে সংক্রমণজনিত অঞ্চলগুলোকে লকডাউন করি। সেইসঙ্গে জনগণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেই’, বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্রে করে সব জনসমাগম স্থগিত করেছে সরকার। সব রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক পুনর্মিলনীও বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে জরুরি সেবাগুলো ছাড়া সব সরকারি এবং বেসরকারি অফিস ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছি। আমাদের জনগণকে এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য দল এবং সরকার উভয় পক্ষ থেকেই গণসচেতনতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের কারণে সরকার এ পর্যন্ত ৪৮ জন করোনা আক্রান্তের ঘটনা শনাক্ত করেছে। যেখানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৫টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং ১৫ জন সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেছে।

 

ঢাকা/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়