ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়
চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে ভারতে গিয়ে আটকে পড়েছেন আড়াই হাজার বাংলাদেশি। তাদের ফেরানোর লক্ষ্যে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রসারের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সজাগ দৃষ্টি রাখছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসী প্রতিবছর বিভিন্ন কারণে (চিকিৎসা, পর্যটন, শিক্ষা প্রভৃতি) ভারত যান। গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে সব ধরনের যানবাহন (বাস, রেল, প্লেন) চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বশেষ তথ্যমতে, এ মুহূর্তে বিভিন্ন কারণে ভারতে গমন করা বা আটকে পড়া বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার পাঁচশত। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
করোনাভাইরাসের ব্যাপ্তি রোধে ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ধরনের বিদেশি (প্রবাসী ভারতীয়সহ) ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। দেশটির কর্তৃপক্ষ ভারত থেকেও বিদেশি নাগরিকের বহির্গমন নিরুৎসাহিত করছে। তাছাড়া ভারতের আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও এ মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলো বাংলাদেশিদের কল্যাণে সদা সজাগ দৃষ্টি রাখছে। মিশনের কর্মকর্তারা আটকে পড়া দুই হাজার পাঁচশত বাংলাদেশির সঙ্গে বিভিন্নভাবে টেলিফোন, হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা আর্থিক বা অন্যকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে, হাইকমিশন ও অন্যান্য মিশনগুলো তা সমাধানে সচেষ্ট আছে।
পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতসহ অন্যান্য দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে এ বিষয়ে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন