ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জীবিকার টানে জীবন বাজি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ৪ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জীবিকার টানে জীবন বাজি

জীবিকার টানে চাকরি বাঁচাতে জীবন বাজি রেখে সাধারণ ছুটির মধ্যে ঢাকা ফিরছেন বিভিন্ন পোশাক শ্রমিকরা। এতে একদিকে যেমন নিজেকে অনিরাপদ করছেন, তেমনি রাজধানীকে বিপদের মুখে ফেলবেন তারা।

তবে বিজিএমইএ বলছে, যেসব শ্রমিকরা ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়িতে গেছেন তারা ভুল করেছেন। তাদের নিজের বাসায় থাকতে বলা হয়েছিলো। আবার এখন গেলোই তারা ফিরে আসছেন কেন? করোনা সংকটের গার্মেন্টস করাখানায়  উপস্থিত না হলেও কারো চাকরি থাকবে না বলেও আশ্বস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সারা দেশ থেকে ঢাকামুখী জনস্রোত দেখা গেছে।  উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম দেশের সবদিক দিয়ে মানুষ এখন রাজধানীতে আসছেন।  গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো ভ্যানে করে, ট্রাকে করে ফিরছেন মানুষ।  মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রোকোনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছেন পোশাককর্মীরা। 

তারা বলছেন, চাকরি হারানোর ভয়ে সব প্রতিকূলতার পরও পায়ে হেঁটেই তারা রওনা দিয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ফেরিতে পা ফেলার জায়গা নেই।  যে যেভাবে পারছেন ঢাকায় যাচ্ছে।  

জানা গেছে, সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও পোশাক শ্রমিকদের যেহেতু বিভিন্ন অর্ডার এবং বায়ারদের চাহিদা ছিলো, এজন্য তাদের ওপরই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো। এতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনেক কারখানা ছুটি দিয়েছিলো। বলা হয়েছিলো তারা যেন বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে।  কিন্তু ছুটি পেয়ে সবাই গ্রামের বাড়ির চলে যায়। সরকার ছুটি দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ালেও গার্মেন্ট কারখানাগুলো আর ছুটি বাড়ায়নি। আশুলিয়ার কিছু কিছু কারখানা শুক্রবারই খুলেছে।  এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা মনে করছেন ৫ এপ্রিল কারখানায় যোগ না দিলে তাদের চাকরি থাকবে না। এই ভাবনা থেকে দেখা গেছে ঢাকামুখী মানুষের জনস্রোত।

ঢাকায় একটি পোশাক কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘অর্ডার তেমন একটা নেই।  তবুও কারখানা খোলার কোনো কারণ দেখছি না। পরিস্থিতি যা তাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমের বড় বিপদের শঙ্কা রয়েছে।  আমার মনে হয় এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আসা উচিত।’

জানতে চাইলে বিজিএমইএ-এর সভাপতি রুবানা হক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কোনোভাবেই তারা যেন না আসে। কারো কোনো চাকরি যাবে না।  আপনার নিশ্চিন্ত থাকুন।’

তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টসকর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো, তারা যেখানে অবস্থান করছে, সেখানেই যেন থাকে। কিন্তু তারা সেটি না শুনে গ্রামের বাড়িয়ে গিয়ে সেখানকার মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এখন আবার ঢাকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।’

গার্মেন্ট নিয়ে দ্রুতই একটা সিদ্ধান্তে আসবেন বলেও জানান রুবানা হক।

** হেঁটে ঢাকায় ফিরছেন পোশাক শ্রমিক, বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

** শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়

** শিল্প কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গাজীপুরে ফিরছেন

** বরিশাল থেকে ঢাকায় ফিরতে সড়কে ভিড়

** হেঁটেই ঢাকায় চলেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা




পারভেজ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়