‘ঢাকায় ফিরে পড়েছি খাবারের অভাবে’
ছবি-শাহীন ভূঁইয়া
পোশাক কারখানা খোলা-বন্ধ নিয়ে মালিকদের টালবাহানায় বিপাকে পড়েছেন লাখ লাখ শ্রমিক। বেতন ও চাকরির অনিশ্চয়তা নিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে নতুন করে তারা এখন পড়েছেন খাবারের অভাবে।
রাজধানীর কয়েকজন গার্মেন্ট শ্রমিকের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, বেতন পাওয়ার আশ্বাসে রোববার (০৫ এপ্রিল) সকালে তেজগাঁওয়ে তারা কারখানায় যান। কিন্তু কারখানা বন্ধ থাকায় খালি হাতে ফেরত আসতে হয়েছে। তার সঙ্গে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার চাপ আছে। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে বাসায় যা ছিলো তাও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
রাজধানীর বাসাবো এলাকার এক শ্রমিক বলছিলেন, ‘ছুটিতে বাড়ি চলে যাই। কারখানা খোলা থাকায় ময়মনসিংহ থেকে অনেক কষ্ট করে এসেছি। কিন্তু এসে এখন দুই সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। কেননা বাড়িতেই সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। বেতন পাবো এই আশায় এসে এখন ভাত খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।’
আরেক শ্রমিক বলছিলেন, ‘কারখানা বন্ধই যদি থাকে তাহলে কেন চাকরির ভয় দেখিয়ে আমাদের আনা হলো। এসে মহাবিপদে পড়েছি। গ্রামে থাকলেতো না খেয়ে থাকতে হতো না।’
তাদের মতো গত দুদিন রাজধানীতে ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক প্রবেশ করেছেন। তাদের সবার একই অবস্থা বলে জানা গেছে। নিম্নআয়ের এসব মানুষের হাতে যেমন টাকা নেই, তেমনি ঠিকমতো সাহায্যও পাচ্ছেন না। এ কারণে তাদের মাথায় এখন দুশ্চিতার ভার।
এদিকে শ্রমজীবী এসব মানুষের ক্ষেত্রে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্র ও শিল্পের প্রতিটি পক্ষকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির জরুরি সময়ে এই খাতে কর্তৃপক্ষের দূরদর্শীতার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারের যে ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ তার আলোকে যাতে ব্যাংকগুলো উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারে এবং শ্রমিকরা যেন তাদের মিলগেট থেকে বেতন নিয়ে নিতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে।
ঢাকা/মাকসুদ/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন