ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনা মোকাবিলায় মেডিক্যাল টিম পাঠানোর আশ্বাস চীনের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৮ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা মোকাবিলায় মেডিক্যাল টিম পাঠানোর আশ্বাস চীনের

বাংলাদেশের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিক্যাল টিম, প্রযুক্তিবিদ প্রেরণসহ যাবতীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে চীন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আলাপকালে এসব আশ্বাস দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার মোবাইলে কথা বলেন। এ সময় করোনা পরিস্থিতি, আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন বিষয়, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের মধ্যে আলাপ হয়।

দেশে ‘শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল’ করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য কাজ করছে। ড. মোমেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই হাসপাতালের জন্য প্রযুক্তিবিদের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর আহ্বান জানান।

তিনি করোনাভাইরাস রোগীদের পরিচালনা, চিকিৎসা এবং বাংলাদেশি চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ, মেডিকেল টিম পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সংকট মুহূর্তে চীন থেকে ভেন্টিলেটর আমদানির কথা বলেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এক বছরের জন্য চীনের সরবরাহকারীদের পক্ষে খোলা সমস্ত ব্যাক টু ব্যাক লেটার অফ ক্রেডিটের (এলসি) বিপরীতে পেমেন্ট স্থগিত রাখার বিষয় বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি শি'র মধ্যে সৌহার্দ্য বৈঠকের কথা স্মরণ করে ড. মোমেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত করার বিষয়ে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল তারা। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই প্রত্যাবাসন শুরু হওয়া উচিৎ আশ্বস্ত করে জানান, এ লক্ষ্যে চীনা সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একে অপরের প্রতি সমর্থনকে পুনর্ব্যক্ত করেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটময় মুহূর্তে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস ইত্যাদি সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেছেন।

ড. মোমেন করোনাভাইরাস টেস্টিং কিটস, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দেওয়ার জন্য চীন সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি ‘জ্যাক মা ফাউন্ডেশন’ এবং ‘আলিবাবা ফাউন্ডেশন’-এর অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।

তিনি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে উহান এবং চীনের অন্যান্য অঞ্চলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সর্বাধিক যত্ন নেওয়ার জন্য চীন সরকারের আন্তরিক প্রশংসা করেন। তিনি ৪ এপ্রিল চীনে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের জন্য চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সংহতি প্রকাশ করেন।


ঢাকা/হাসান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়