ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শবে বরাতের এমন রাত আগে দেখেননি নগরবাসী

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ১০ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শবে বরাতের এমন রাত আগে দেখেননি নগরবাসী

রাত ১০ টা। চারিদিকে পিনপতন নীরবতা। এলইডি লাইটের আলোতে ঝকঝকে পরিবেশ। মাঝে-মধ্যে ছুটছে দু’একটি অ্যাম্বুলেন্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। কাল ছিল শবে বরাতের রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে মানবজাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ নামাজ, কোরআন পাঠ, জিকির ও অন্যান্য ধর্মীয় ইবাদত পালন করেন। তারা পুরো রাতই ইবাদতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন।

তবে এবার ছিল ভিন্ন পরিস্থিতি। যা আগে দেখেননি নগরবাসী। গতকাল বায়তুল মোকাররম মসজিদে এশার নামাজের পর পাঁচজন মুসল্লিকে নিয়ে ইমাম সাহেব কান্নাজড়িত কণ্ঠে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির আশায় আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। এ সময় অন্যরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

অন্য শবে বরাতের রাতে বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান গোলাপশাহ ও হাইকোর্ট মাজার কেন্দ্রিক হাজার হাজার মানুষের জমায়েত দেখা যেত। করোনভাইরাসের কারণে এবার তা সম্ভব হয়নি।

করোনাভাইরাসের কারণে নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই মহামান্বিত রজনী শবে বরাতের রাতে মহামারি থেকে মুক্তির আশায় আল্লাহর দরবারে মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।

নগরীর কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাড়ায় মহল্লায় প্রতিটি সড়কে বাঁশ দিয়ে বেড়িকেইড দেওয়া হয়েছে। যেন মানুষ অবাধে চলাচল করতে না পারে।

তবে নগরীর বাসা-বাড়িতে ফিন্নি, পোলাও, হালুয়া, রুটির আয়োজনে কমতি ছিল না। তবে অন্য বারের মতো প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিনিময় করা হয়নি। শিশু-কিশোররাও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘরে বসেই এবাদতে শামিল হন।

ঢাকা সেন্টার ফর দাওয়াহ অ্যান্ড কালচারের চেয়ারম্যান মাওলানা উবায়দুর রহমান নদভী বলেন, ‘এমন মুসল্লিশূন্য মসজিদ দেখে খুব কষ্ট লাগে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু নিয়ম-কানুন তো মেনে চলতেই হবে। করোনাভাইরাস থেকে আল্লাহ যেন সবাইকে মুক্ত রাখেন সেজন্য ঘরে বসেই এবাদত করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বের হওয়া যাবে না।’

 

ঢাকা/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়