ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গ্রামীণফোন ঘোষিত ‘গ্রাহক সহায়তা’ নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫২, ১০ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রামীণফোন ঘোষিত ‘গ্রাহক সহায়তা’ নিয়ে প্রশ্ন

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ঘোষিত ‘গ্রাহক সহায়তা’ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশেন।

রোববার (১০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গ্রামীণফোন করোনা দুর্যোগে সহায়তার যে ঘোষণা দিয়েছে তা হতে পারে বাণিজ্যিক কৌশলগত সহায়তা, যা গ্রাহকদের সাথে এক প্রকার প্রহসন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অপারেটরদের করোনা দুর্যোগে গ্রাহকদের সহায়তা করতে বলেছিলাম। তবে এভাবে টাকার অঙ্কে কৌশল অবলম্বন করে নয়। আমরা তাদের সহায়তা বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাই—

প্রথমত, প্রায় ৭ কোটি ৫০ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে ১ কোটি গ্রাহকের জন্য ১০ কোটি মিনিট ফ্রি দেবে। একজন গ্রাহক ১০ মিনিট ফ্রি পাবে। এই ফ্রি অফার দিয়ে গ্রাহকের কী উপকার হবে, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সার্টিফায়েড ২৫ হাজার করোনা চিকিৎসককে ১ টাকায় ৩০ জিবি ইন্টারনেট দেওয়া হবে। আমাদের প্রশ্ন—এসব ডাক্তার বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাছাড়া, তাদের জন্য তিন বা পাঁচ তারকা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা আছে। যেখানে ইতোমধ্যেই ফ্রি ইন্টারনেটের ব্যবস্থা রয়েছে। যাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই, তারা কীভাবে এই সুবিধা ব্যবহার করবে? যদি জিপি ঘরে বসে থাকা টেলিমেডিসিন সেবা দিচ্ছে এমন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, অনলাইন ক্লাস করছে যারা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা গণমাধ্যম কর্মীদের দিত, তাহলে বিষয়টি ভিন্ন হতো।

তৃতীয়ত, সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৪৮ পয়সা প্রতি মিনিট কলরেট। এক্ষেত্রেও অফিস-আদালত বন্ধ, লকডাউন ও রমজান থাকায় এ সময়টি বর্তমানে অফ পিক আওয়ার। তাই এ সময়ে কল করার প্রয়োজন হয় খুবই কম। তাছাড়া, এরকম কম রেট অন্য অপারেটরদের অনেক আগেই ছিল। গ্রাহকদের পাওনা কলড্রপের মিনিট ফেরত দিলে এ সকল সুবিধার প্রয়োজন হবে না।

চতুর্থত, খুচরা ব্যবসায়ী তথা রিটেইলারদের জন্য তারা ১০ কোটি টাকার ক্রেডিট স্কিম রেখেছে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, রিটেইলারদের তারা শুরু থেকেই বঞ্চিত করে আসছে। তাদের কাছ থেকে অগ্রিম সঞ্চয় গ্রহণ করে মুনাফা না দিলেও উল্টো কম কমিশন দিয়ে অবৈধ অফার দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সুযোগ করে দিয়েছে।

আমাদের বক্তব্য এসকল সহায়তা কারো কোন কাজে আসবে না। তাই এই সহায়তার নগদ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হোক। না হলে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে চিকিৎসার কার্যক্রম ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, সবার আগে জীবন। জীবন থাকলেই কথা হবে। দরকার হবে প্রযুক্তির। তাই জীবন বাঁচাতেই সহায়তার প্রয়োজন।’


ঢাকা/ইয়ামিন/রফিক  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়