ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দরিদ্র ফান্ড ও মাস্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শাস্তির দাবি টিআইবির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ১৬ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
দরিদ্র ফান্ড ও মাস্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শাস্তির দাবি টিআইবির

করোনাকালীন সংকটের কারণে সরকার ঘোষিত হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারের নগদ সহায়তা কার্যক্রম ও মাস্ক সরবরাহে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ।

শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “জাতির এই চরম সংকটময় মুহূর্তে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গণমুখী উদ্যোগ এই কার্যক্রমে এক শ্রেণির অসাধু গোষ্ঠীর দুর্নীতিপ্রবণ মানসিকতা ও কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। দেশ এবং দেশের মানুষ এখন এক মহাসংকট কাল অতিবাহিত করছে। ক্রান্তিকালীন মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তা দেবার উদ্যোগ সাধুবাদ পাবার যোগ্য। কিন্তু তালিকা প্রণয়নে স্থানীয় পর্যায়ে অনিয়ম ও বিতরণে অদক্ষতা এবং সমন্বয়হীনতা পুরো কার্যক্রমকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে যাচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়। এক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে যাদের সহায়তা প্রয়োজন, তারা যাতে উপকৃত হতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সহায়তাপ্রাপ্ত সকলের তালিকা ওয়েবসাইটসহ সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা জরুরি। ”

বিভিন্ন সময়ে ত্রাণ সামগ্রী চুরি ও আত্মসাৎসহ বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম ও সংঘটিত দুর্নীতি টিআইবির উদ্বেগের পুনরুল্লেখ করে নির্বাহী পরিচালক বলছেন “উপকারভোগীদের তালিকায় ক্ষেত্রবিশেষে বিত্তশালী ও জনপ্রতিনিধিদের সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনের নাম থাকা সংশ্লিষ্টদের হীন ও পাশবিক মানসিকতার পরিচয় বহন করে। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল হয়েছে মাঠ প্রশাসনের এমন অজুহাতও ধর্তব্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানসহ এই বিষয়ে তাঁর সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই কার্যকর কোনো দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। মোবাইল নম্বরের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর মিলিয়ে উপকারভোগীদের অর্থ পরিশোধ করা হবে- প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এমন বক্তব্য আশাবাদ তৈরি করলেও যথেষ্ট নয়। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি ।”

স্বাস্থ্যকর্মীদের এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের ক্ষেত্রে সংঘটিত অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, “ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অপরিহার্য উপাদান মাস্ক সরবরাহের ক্ষেত্রে সংঘটিত অনিয়মের ঘটনার এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিলের পর ঘটনার এতদিন অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এখনও প্রতিবেদনটি দেখার সুযোগ পাননি। কোনো পদক্ষেপও গৃহীত হয়নি, যা সত্যিই দুঃখজনক। প্রশ্ন উঠবে, যারা এই কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত তাদের কি ক্ষমতাবানদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে, যারা তাদের সুরক্ষা দিতে তৎপর, না কী তারা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান” টিআইবি মনে করে মাস্ক কেলেঙ্কারীসহ ইতোপূর্বে উত্থাপিত  করোনা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনার যদি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হতো, তাহলে সরকারকে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনার সন্মুখীন হতে হতো না।


ঢাকা/এম এ রহমান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়