ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড়ের আগে উপকূল: আকাশ রূপ পাল্টাচ্ছে বারবার

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫২, ১৯ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ঘূর্ণিঝড়ের আগে উপকূল: আকাশ রূপ পাল্টাচ্ছে বারবার

দুপুর ১ টা পর্যন্ত বাগেরহাটের আকাশে মাঝে মাঝে হালকা রোদের দেখা মেলে। এরপর চারদিকে অন্ধকার হয়ে আসে। দেড়টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে একপসলা বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেও কমে নি ভ্যাপসা গরম। সময় যত যাচ্ছে গরম যেন ততই বাড়ছে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আকাশে কোনো তারা দেখা মেলে নি। সারারাতই ছিলো ভ্যাপসা গরম। কখনো কখনো একেবারেই আকাশ কালো দেখা গেছে। আবার কখনো কখনো ধুসর সাদা মেঘ।

সোমবার বিকেল থেকেই গুমোট ভাবের শুরু। মঙ্গলবার সকাল থাকে প্রচণ্ড রকম ভ্যাপসা গরম । বাতাসও খুব একটা ছিলো না।

বারবার বদলেছে আকাশের চেহারা, একেকবার একেক রকম। কখনো মনে হয়েছে আকাশে যেন তুষার পড়েছে। ঠিক সেই রকম সাদা। কখনো নীল। কখনো কালো। কখনো ধুষর। আবার কখনো দেখা গেছে অন্যরকম দৃশ্য। কখনো ভেসে চলেছে মেঘের দল। কখনো আবার স্থীর। যেন অন্যরকম এক আবহাওয়া।

বড় রকমের ঝড় আসার আগে, এর আগেও এরকম অবর্ণনীয় ভয়ঙ্কর আকাশ আর আবহাওয়া দেখেছেন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আফরা গ্রামের সোহরাব মৃধা ।

তিনি বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে আছি। আমার কাঁচা ঘর। শুনতেছি নাকি খুব শক্তিশালি ঝড়। যদি একটু জোরে বাতাস আসে, তাহলে আমাদের দিকে অনেকেরই ঘর পড়ে যাবে।

একই স্থানে থাকা জাফর নকিব বলেন, এই সময়ে যদি ঘরবাড়ি পড়ে যায়, তাহলেও আর কষ্টের সীমা থাকবে না।

কামরুল পাইক বলেন, ঘর থাকুক না নাই থাকুক, ঝড়ের ভাব বুঝলেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবো। বেঁচে থাকলে ঘর বানানো যাবে।

স্থলভাগে কেমন গতিতে আঘাত হানতে পারে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতি বেগে বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন আমপান।

আনন্দবাজার পত্রিকায় আলীপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে- ‘বুধবার সন্ধ্যায় দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও জায়গা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ‘আমপান’। সে সময় তার যে ভয়াল রূপ ধারণ করার কথা, আবহাওয়া বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকে বলা হয় ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন’ বা মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে- মঙ্গলবার বেলা ৩ টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।


ঢাকা/সাওন/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়