আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটিতেও কাজ চলবে

ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যেও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

শনিবার (২৩ মে) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়ার নদীতীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

এ সময় উপমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে  সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি এলাকায় গতকাল (শুক্রবার) থেকেই সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। আমরা আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছিলাম। এখনো তারা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সঙ্গে মিলে কাজ করছে। নড়িয়াও একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানেও কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। ঈদের বন্ধেও আমরা সতর্ক থাকবো।

এ সময় সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী শামীম  বলেন, দেশে প্রায় ১৬ হাজার ৭শ কি.মি. বাঁধ রয়েছে। যার প্রায় ৬ হাজার কি.মি. বাঁধ উপকূলাঞ্চলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৪০/৫০ বছরের পুরনো সব বাঁধ আমরা সুপার ডাইকে পরিণত করছি। আমাদের ১৩৯টি পোল্ডারের মধ্যে ১০ পোল্ডারে প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে এবং আরও ৬টি প্রকল্প একনেকে যাবে।

এ সময় চিফ ইঞ্জিনিয়ার (বাপাউবো) তোফায়েল আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হেকিম, খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রতিনিধি এবং বেঙ্গল গ্রুপের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী শামীম জানান, করোনা সঙ্কটের মধ্যেও আমরা ১৯ এপ্রিল থেকে প্রায় ১৫০০-১৭০০ শ্রমিক দিয়ে নড়িয়াতে প্রকল্প কর্মকাণ্ড চালু রেখেছি। বন্যা-বর্ষার হাত থেকে মানুষের নিরাপত্তার জন্য নড়িয়ার মতোই সারাদেশে করোনা সঙ্কটের মধ্যেও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

পরে সাবেক এ ছাত্রনেতা নড়িয়ার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারের পক্ষে ২০টি মসজিদ-কবরস্থানে প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করেন এবং নড়িয়া শহীদ মিনার চত্বরে নড়িয়া উপজেলার প্রায় ৪ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে ঈদ উপহার (খাদ্যসামগ্রী) বিতরণ করেন।

 

ঢাকা/হাসান/এসএম