ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অনলাইনে কেনাকাটা: স্বস্তিতে ক্রেতারা, বিক্রেতার মুখে হাসি

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ২৪ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
অনলাইনে কেনাকাটা: স্বস্তিতে ক্রেতারা, বিক্রেতার মুখে হাসি

প্রতীকী ছবি

করোনা সংক্রমণ এড়াতে শপিং মল-মার্কেটে ঈদের কেনাকাটার সুযোগ সীমিত। তাই গ্রাহকদের শেষ ভরসা অনলাইন শপিং। এতে হোম ডেলিভারির সুযোগ থাকায় এই প্লাটফর্মেই ক্রেতারা ঝুঁকেছেন বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পণ্য বিক্রি করতে পেরে বিক্রেতাদের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।  

এই খাতের ক্রেতারা জানান, মার্কেটে ভিড়ের ভেতর কেনাকাটায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করেন তারা। আর বিক্রেতারা জানান, ক্রেতারা যেন ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পারেন, সেজন্য বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাকসহ বিভিন্ন ধরনের অফার রাখা হয়েছে। 

করোনা সংক্রমণের ভয়ে মার্কেটে যাওয়ার সাহস হয়নি বলে জানান রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা ফাহিম মোরশেদ। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘তাই অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ থাকায় সেখান থেকেই একটি পাঞ্জাবি নিয়েছি।’

একই তথ্য জানালেন উত্তরার বাসিন্দা তৌফিকুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের জন্য অনলাইনে অর্ডার করে কিছু পোশাক কিনেছি।’

অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা নিয়ে কথা হয় ইভ্যালীর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনার কারণে সীমিত পরিসরে পণ্য ডেলিভারি চলছে। এরপরও আমরা ইতোমধ্যে ৯৭ শতাংশের বেশি পণ্য ডেলিভারি করেছি। বাকি যেসব অর্ডার রয়েছে, সেগুলো ঈদের আগে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

জানতে চাইলে দারাজ ডটকমের একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘এবারের ঈদ কেনাকাটায় অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।’

শপিং মলে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে ক্রেতাদের ভিড়

ফেসবুকভিত্তিক কাপড়ের ব্যবসা করেন এনেক্স ক্লথিংয়ের মালিক জুবায়ের আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় কম ব্যবসা হবে ধারণা করে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে।’

অনলাইনে বিক্রি বেশি হওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎস জাহিদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘শোরুমগুলেঅ ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ থাকায়, সেখানে একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনলাইন সেই ঝুঁকিমুক্ত। এ কারণেই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে পণ্য কেনা অনেক নিরাপদ।’ 

প্রায় অভিন্ন মত জানালেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুলতানা শাহানা বানুও। তিনি বলেন, ‘যেখানে মানুষের জমায়েত হবে, সেখানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। শপিং মলে যে ভিড় দেখা গেছে, তা খুবই আশঙ্কাজনক।  এক্ষেত্রে অনলাইনে কেনাকাটা তুলনামূলক কম ঝুঁকির। এ কারণে মানুষ অনলাইনে ঝুঁকেছে।’

ইকমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক  আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘এবার করোনার কারণে মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ নেই। তবু প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।’ প্রতিষ্ঠানগুলো সময়মতো পণ্য পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


নূর/এনই

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়