ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনাকালে দুই ঘটনায় টিআইবির উদ্বেগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ৩০ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
করোনাকালে দুই ঘটনায় টিআইবির উদ্বেগ

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত সংকটের মধ্যে জবাবদিহিতাহীন কর্মকাণ্ডের একের পর এক উদাহরণ সৃষ্টিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও আইনের শাসনের স্বার্থে এখনই লাগাম টেনে ধরার জোরালো দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৩০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে টিআইবি এমন দাবি জানায়।

বিবৃতিতে বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ত দায়হীনতা ও ‘গাফিলতি’ এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে বেআইনিভাবে ঋণ সুবিধা আদায়ের জন্য গুলি করার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্তদের এয়ার-অ্যাম্বুলেন্সে দেশ ছাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

ইউনাইটেড হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন চিকিৎসাধীন ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনার বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইসোলেশন ইউনিটে আগুন ধরেছিল। সেখানে দাহ্যপদার্থ নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রগুলো ছিল  মেয়াদোত্তীর্ণ। মালিকপক্ষের আচারণ ছিল বিভ্রান্তিকর, যা অগ্রহণযোগ্য। এ ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি ‘অপরাধমূলক গাফিলতির’ প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণসহ আইনের কঠোরতম প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, হাসপতালের ‘সেবার’ বিষয়টি কেবল সাইনবোর্ড সর্বস্ব হবে, আর ব্যবসায়িক লাভ বিবেচনার কাছে চিকিৎসাপ্রার্থী হেরে যাবেন, গাফিলতির কারণে তাদের প্রাণ যাবে- এটা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সম্প্রতি অবৈধ ঋণ পাইয়ে দিতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে গুলি করা, একাধিক কর্মকর্তাকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে মামলার ঘটনায় তোলপাড় হয়।  যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তারাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ‘প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়’ ‘মিথ্যা রোগী সেজে’ ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ দেশ ছাড়লেন।  ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি এমন অজুহাতে এর দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।  বরাবরের মতো এবারও যদি তারা সরকারের ‘প্রত্যক্ষ মদদে’ দায় মুক্তি পেয়ে যান, সেটা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘শূন্য সহনশীলতা নীতির’ সরাসরি বরখেলাপ।

ড. জামান বলছেন, আসন্ন বাজেটে আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার মতো তথ্য দুর্নীতি দমনের ঘোষণা আর দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদকে বৈধতা দেওয়া শুধু পরস্পর বিরোধী নয় বরং অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক। বছরের পর বছর এ সুবিধা দেশের অর্থনীতির কোনো দৃশ্যমান উপকার হয়নি। তাই সরকারকে এ আত্মঘাতী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

 

রহমান/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়