সদরঘাট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাড়ছে লঞ্চ
দীর্ঘ ৬৬ দিন পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে রোববার (৩১ মে) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমে রোটেশন পদ্ধতিতে (নির্দিষ্ট কয়েকটি) লঞ্চ চলাচল করবে। তবে যাত্রী চাপ থাকলে নৌযান বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।
জানা যায়, প্রাথমিক সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৪৫টি রুটে প্রায় দেড় শতাধিক লঞ্চ চলাচল করবে। এর মধ্যে রোববার থেকে রোটেশন পদ্ধতিতে ৭০ থেকে ৮০টি লঞ্চ চলবে।
সদরঘাট নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, লঞ্চ চলাচলের শুরুর দিন সকালে যাত্রীসংখ্যা ছিল খুবই কম। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে লঞ্চে চেপেছেন যাত্রীরা। লঞ্চে প্রবেশের সময় যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক দেওয়া হয়। পরীক্ষা করা হয় শরীরের তাপমাত্রা। অপরদিকে নদী বন্দরে প্রবেশের পথে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়।
চাঁদপুরগামী যাত্রী নূর মোহাম্মদ বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতেই হবে।
এমভি রফরফ লঞ্চের মাস্টার মো. আবুল কালাম বলেন, লঞ্চ নদীতে ভাসানোর আগে ধুয়ে-মুছে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। যাত্রীদের হাতে দেওয়া হয়েছে জীবাণুনাশক। মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানো হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক সহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে যাত্রীরাই সচেতন রয়েছে। আর জীবাণুনাশক ব্যবহারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষই সচেতন রয়েছে। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে নৌপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএ স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দিয়েছে। সার্ভে সনদ অনুযায়ী যাত্রী নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে কিনা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে গত ২৪ মার্চ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/আসাদ/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন