বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে ডব্লিউএফপির সঙ্গে তামিম

করোনা মহামারিতে তামিম ইকবালের মহানুভবতার দৃষ্টান্ত দেখছেন ভক্ত-সমর্থকরাও। তামিম যে শুধু বড় একজন ক্রিকেটারই নন, অনেক বড় মনের মানুষও তা দেখেছে পুরো বিশ্ব।

যেখানেই অসহায়দের আর্থিক সাহায্যের দরকার, তামিম এগিয়ে গিয়েছেন। খেটে খাওয়া মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করছেন। হত-দরিদ্র পরিবারকে দিয়েছেন ত্রাণ। নিজের গণ্ডি পেরিয়ে অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। এবার বৃহৎ পরিসরে কাজের সুযোগ পেয়েছেন তামিম।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-র জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তামিম।সোমবার দুপুরে ডব্লিউএফপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় দলের এ সুপারস্টারকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বেছে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে ১৯৭৪ সাল থেকে কাজ করছে এবং এ পর্যন্ত ১৫৫ মিলিয়ন অরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে। ২০১৯ সালে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে।

ডব্লিউএফপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করার সময় তামিম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন কিভাবে ডব্লিউএফপি সরকারের সহযোগিতায় ক্ষুধাশুন্যতা অর্জনের জন্য কাজ করে চলেছে। তামিম সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি-র বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যা দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় স্কুলে খাদ্য প্রদান, পুষ্টি ও জীবিকার পাশাপাশি কক্সবাজারে শরণার্থীদের নিয়ে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে।

বড় পরিসরে কাজের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত দেশ সেরা ওপেনার। তামিম বলেছেন, ‘জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএফপি-র জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে।’

‘ যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনও প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি অনেকের জীবনকেই আরও বেশী সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করার আশা রাখি যাতে ডব্লিউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতা প্রয়োজন এমনসব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।’

বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান বলেন,‘তামিম একজন সফল ক্রিকেটার যে দেশে এবং বিদেশে অনেকের কাছেই সমানভাবে প্রিয়। জনপ্রিয়তা ও নাগালের পাশাপাশি তামিমের রয়েছে কর্মক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের নৈতিকতা, মানুষের প্রতি সমবেদনা ও জনহিতকর কাজের স্পৃহা। ডব্লিউএফপি পরিবারে তাকে পেয়ে আমরা ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত।’

প্রসঙ্গত, জরুরি অবস্থায় জীবনরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনধারার পরিবর্তনে কাজ করে থাকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ডব্লিউএফপি বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে কর্মরত রয়েছে। সংঘাত ও দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করে এই সংস্থা।

 

ঢাকা/ইয়াসিন