করোনা রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া মানবতাবিরোধী কাজ: তথ্যমন্ত্রী
করোনা রোগীদের হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং তাদের চিকিৎসাসেবা না দেওয়া মানবতাবিরোধী কাজ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।
ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ৫০ বেডের করোনা ইউনিট স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘আজ মা ও শিশু হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অন্যদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। কারণ, আজকের পত্রিকাতেও আমরা দেখছি, হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে স্ত্রীর সামনে অসহায়ভাবে স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে। এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। কোনো হাসপাতাল থেকে রোগীকে এভাবে ফিরিয়ে দেওয়া মানবতাবিরোধী কাজ।’
যেসব হাসপাতাল এমন করছে, তারা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কাছ থেকে শিক্ষা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় তাদের কাজে আসতে না চাওয়াটা কোনোভাবে সমীচীন নয়। তারা মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্যই লেখাপড়া করেছেন। তাদের হাত গুটিয়ে নেওয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে সৈন্য পলায়নের মতো।’
পুলিশ বাহিনীর উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবার যেখানে এগিয়ে আসেনি, পুলিশ ও প্রশাসন সেখানে সৎকারের ব্যবস্থা করেছে।’
তথ্যমন্ত্রী এ মহামারি পরিস্থিতিতে গুজব ও আতঙ্ক ছড়ানো প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং সবাইকে অহেতুক সমালোচনা পরিহার করে মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী কাজে আসতে অপারগতা জানিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে বলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই করোনা ইউনিট চালুর ফলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা এক ধাপ এগিয়ে গেল।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মোর্শেদ হোসেনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি সমন্বয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, করোনা ইউনিটের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী ও ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ এসময় বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/পারভেজ/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন