করোনায় দরিদ্র হয়েছেন আরও ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ: বিআইডিএস
কোভিড-১৯ এর প্রভাবে চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বাংলাদেশে আরও ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছেন।
বুধবার (২৪ জুন) গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
‘ইন দ্য শ্যাডো অব কোভিড কোপিং, অ্যাডজাস্টমেন্ট, রেসপনসেস’ শীর্ষক বিআইডিএসের এই ক্রিটিক্যাল কনভারসেশন্স ওয়েবিনারে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো বিনায়ক সেন জানান, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কাটাতে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ লকডাউন অর্থনৈতিকভাবে টেকসই নয়। এতে যেমন দারিদ্র্যের হার বেড়েছে, অন্যদিকে কোভিডের আগেই যারা দরিদ্র ছিলেন, তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
বিনায়ক সেন বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে এই ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। বরাদ্দ বাড়িয়েও লাভ হবে না, কারণ এই ভাতা ও সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল মানুষ বাছাই করার প্রবণতা আছে দেশে। ফলে যাদের দরকার, তাদের অনেকেই তালিকায় ঢুকতেই পারেন না।
কোভিডের অভিঘাতে দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমে যাবে জানিয়ে বিনায়ক সেন বলেন, এতে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তির স্বাস্থ্য ব্যয় হ্রাসে এই খাতে বরাদ্দ জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে আরও সমতাভিত্তিক মডেল অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া দ্রারিদ্র্য বিমোচনে যে সব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তা থেকে কোনো ফল পাওয়া যাবে না।
বিআইডিএস আশংকা করছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার দারিদ্র্য হ্রাসের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি কোভিডের সময়ে শহরের শ্রমিকের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ এবং গ্রামীণ শ্রমিকের আয় কমেছে ১০ শতাংশ।
ড. বিনায়ক সেন ছাড়াও ড. মনসুর হোসেন ও ড. কাজী ইকবাল এ সময় দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ড. এস. আর ওসমান ও ডা. মুশতাক আহমেদ।
ঢাকা /হাসনাত/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন