আমাদের কাছে সুমন ব্যাপারীর প্রধান পরিচয় রোগী: মিটফোর্ড পরিচালক
সুমন ব্যাপারী
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন ব্যাপারী একজন রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশীদ উন নবী।
শুক্রবার (৩ জুলাই) রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে সুমন নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি ডুবে যাওয়া লঞ্চে ছিলেন বলে আমাদের জানানো হয়। এ কারণে প্রথমদিকে অসুস্থ থাকলেও চিকিৎসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। মঙ্গলবার রাতেই তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।’
রশীদ উন নবী বলেন, ‘আমাদের কাছে সুমন ব্যাপারীর প্রধান পরিচয়—তিনি একজন রোগী। তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছি। ’
এদিকে ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাইল হয় সুমন ব্যাপারীর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরদঘাট নৌ পুলিশের (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে আমরা কাজ করছি। যে ছবি দেওয়া হয়েছে সেটি উদ্ধার হওয়া সুমন বেপারী নন। তিনি নৌ পুলিশের এএসআই আক্কাস আলী। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।’
জানা গেছে, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে সুমন বেপারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত দল। ৩০ মিনিট সুমনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২৯ জুলাই মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটের অদূরে অন্য একটি লঞ্চের ধাক্কায় তলিয়ে যায়। লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর সুমন ব্যাপারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নদীতে ভেসে ওঠার পর কোস্টগার্ড কর্মীরা তাকে তুলে নেন। উদ্ধারের পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে জ্ঞান ফিরে আসে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়।
সুমন বেপারীর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার আব্দুল্লাহপুরে।
মাকসুদ/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন