স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযানের পঞ্চম দিনে ১৩ হাজার ১১৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১০০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

এছাড়া ৭ হাজার ৮৮০টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। এ সময়ে ২৪টি মামলায় মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মানুন বলেন, ৪ জুলাই থেকে ১০ দিনব্যাপী শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ৬৬ হাজার ৩০৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৪৬৭টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৪০ হাজার ৩৯৪টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ চারদিনে ৯৪টি মামলায় মোট ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বুধবার উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৮০৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময় ৩টি মামলায় মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৬৮৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৭১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৭৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৭টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৬৪৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৯০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৭টি মামলায় ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫০৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৬৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ১৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫৯৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৮১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে তা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭২৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৫৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। আর ৪৮৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া  যায়। এ সময় বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩৭৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সাঁতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭২২টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬০৭টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

 

ঢাকা/সাওন/জেডআর