ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘পূর্ব অভিজ্ঞতা করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করছে’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৯ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘পূর্ব অভিজ্ঞতা করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করছে’

জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকালে জাতিসংঘ মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার (৮ জুলাই) জাতিসংঘে চলমান উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামের (এইচএলপিএফ) এক ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টে রাবাব ফাতিমা এ কথা বলেন।

এ ইভেন্টটির সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, ভুটান এবং আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট (আইএফআরসি)।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও অবিরত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হওয়ার ফলে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণ, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা আজ কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি মোকাবিলায় কাজে লাগছে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন উভয়ই জীবন-জীবিকা ও উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে যে সব দেশে আগে থেকেই নাজুক পরিস্থিতি বিদ্যমান সে সব দেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি। স্বাস্থ্য ও জলবায়ুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত বৈশ্বিক প্রস্তুতি ও পদক্ষেপসমূহ মারাত্মকভাবে অপ্রতুল মর্মে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, সম্প্রতি কীভাবে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ একই সঙ্গে কোভিড-১৯ ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলা করেছে।

বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন, শক্তিশালী আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, ত্রুটিহীন দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতির অনুশীলন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষে খরা ও লবণ সহনশীল শস্যের জাত উদ্ভাবনসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনে বাংলাদেশ যে সব কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতেমা।

তিনি অভিযোজন ও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা সুদৃঢ় করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সমগ্র সমাজ দৃষ্টিভঙ্গি’ এর কথা উল্লেখ করে বলেন, যেখানে জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত সরকারি প্রচেষ্টাসমূহের কেন্দ্রবিন্দুতে নারী, যুবসমাজ ও স্থানীয় জনগণকে রাখা হয়েছে।

কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু কর্ম-পরিকল্পনায় গৃহীত জাতীয় প্রচেষ্টাসমূহকে বিশেষ করে সবচেয়ে নাজুক দেশগুলোতে বাড়তি আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর সমর্থন জোগাতে সব উন্নয়ন অংশীদার, বহুপাক্ষিক দাতাসংস্থা-বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

নেদারল্যান্ডসের ভাইস মিনিস্টার তার বক্তব্যে বলেন, কোভিড পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা অবশ্যই ব্যাপকভিত্তিক হতে হবে এবং যেকোনো ভবিষ্যৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধকল মোকাবিলায় শক্তিশালী সামর্থ্য বিনির্মাণে এ পরিকল্পনা হতে হবে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপসমূহের পরিপূরক।

অভিযোজন ও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনে গৃহীত বৈশ্বিক প্রয়াসের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঘাটতিসমূহ দূর করতে আরও জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন আইসিসিসিএডি’র পরিচালক ড. সালিমুল হক। তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকরা স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জসমূহকে বিবেচনায় নিতে হবে।

সাইড ইভেন্টের বেশ কয়েকজন প্যানেলিস্ট সংকট ব্যবস্থাপনা ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

ঢাকা/হাসান/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়