ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিশেলসে জনশক্তি প্রেরণে চুক্তি স্বাক্ষর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ২১ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিশেলসে জনশক্তি প্রেরণে চুক্তি স্বাক্ষর

পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। দেশটির রাজধানী ভিক্টোরিয়াতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং সিশেলস সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সিশেলস-এর এমপ্লয়মেন্ট, ইমিগ্রেশন ও সিভিল স্ট্যাটাস মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মারিয়াম তেলেমাক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ফজলুল করিম, উপসচিব মোহাম্মদ শাহীন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক (কর্মসংস্থান) ডিএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সিশেলস সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া সাময়িক বন্ধ রাখে। এরপর উচ্চ অভিবাসন ব্যয় হ্রাসসহ একটি সুশৃংখল ও কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় সিশেলসে কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে উভয়দেশ শ্রম সহায়তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মার্চ মাসে সিশেলস সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করেন এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে টেকনিক্যাল সভায় মিলিত হন। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সিশেলস এ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাটি উঠে গেল।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, চুক্তিটি স্বাক্ষরের ফলে দুই দেশের মধ্যে শ্রম বাজারসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সফরকালে সিশেলসে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও মন্ত্রীকে চুক্তিটি স্বাক্ষরের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সিশেলসে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত। নির্মাণ শিল্পে অধিকাংশ কর্মী কাজ করে থাকেন। এছাড়া হোটেল, টুরিজম, স্বাস্থ্য সেবা, হাউজ কিপিং, কুক, ভিলা এটেন্ডডেন্ট, কৃষি খামার, পোল্টি খামার প্রভৃতি খাতেও বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত আছে। ফিশিং ও ফিশ ইন্ডাস্টিজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং টুরিজম খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরাই সিশেলসের বৈদেশিক শ্রম বাজারের অন্যতম প্রধান অংশীদার।

এদিকে, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময়কালে প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের সুযোগ সুবিধা ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রীর সাথে উন্মুক্ত আলোচনা করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে এদেশে আমাদের শ্রমশক্তির একটি বাজার গড়ে উঠেছে এবং চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এ শ্রমমাজারটি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আরো উম্মুক্ত ও সম্প্রসারিত হবে। মতবিনিময় সভায় সিশেলস এ অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তাদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার বিষয়ে মন্ত্রী দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।


ঢাকা/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়