ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইফতার বিক্রি কমেছে

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১৫ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইফতার বিক্রি কমেছে

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। তাই এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি সব ধরনের  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিলো। তবে রমজানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ইফতার সামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেওয়া হলেও করোনার প্রভাবে রোজার শুরুর সময়ের থেকে এখন বিক্রি অনেক কমেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে ক্রেতারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই এখন বাসার বাইরে এসে ইফতারি কিনছেন না।

শুক্রবার (১৫ মে) রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলা, শঙ্কর, মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।

ধানমন্ডির জিগাতলায় গত বছরের মতো ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায়নি। আশপাশে দুই-একটি রেস্টুরেন্টে ইফতার বিক্রি করতে দেখা গেলেও ক্রেতা ছিল খুব কম। 

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, শঙ্কর, ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের কয়েকটি ইফতারের দোকান থাকলেও ছিল না ক্রেতাদের ভিড়। আবার গত কয়েকদিনের তুলনায় এই সব এলাকার পাড়া-মহল্লায় ইফতারির দোকানও কমে গেছে। 

এ বিষয়ে ঘরোয়া রেস্তরাঁর মালিক সালাম হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিনের তুলনায় এখন ক্রেতা কম। রাজধানীতে করোনার সংক্রামণ বাড়ার কারণে ক্রেতা কমেছে। প্রতিবছর এই সময়ে আমি কিছু অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকি। কিন্তু এই বছরের ইফতারি বিক্রির চিত্র একদমই ভিন্ন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নিয়ম থাকলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছি, তাও সব বিক্রি হয় না।’ 

মোহাম্মদপুরের সিটি ক্যাফের মালিক সজীব হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘রোজার শুরুর দিকে ক্রেতা কম ছিল। তবে ৫ রোজার পর থেকে ক্রেতা ভালোই ছিল।এখন আবার ক্রেতা কমে গেছে। তৈরিকৃত ইফতার বিক্রি করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। তাই এখন সবার মধ্যেই এইটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই জানে না কার শরীরে এই ভাইরাস আছে। তাই ভয়ে কেউ বাসা থেকে বের হতে চাচ্ছে না। এমন হলে ভাবছি ইফতারি আর বিক্রি করবো না। কারণ প্রতিদিনই খাবার নষ্ট হচ্ছে। আর এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।’

রাজধানীর ধানমন্ডি ১৫ নাম্বার বিসমিল্লাহ হোটেলে ইফতারি কিনতে আসা মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। লকডাউনের মধ্যেও অফিস করতে হয়। আবার রোজাও রেখেছি। বাসায় গিয়ে ইফতার করবো। ইফতার তৈরি করার সময় নেই। তাই দোকান থেকে ইফতার কিনে নিলাম। আগে দোকানে ভিড় লেগে যেত কিন্তু আজ সেটা চোখে পরেনি।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। আমরা বার বার বলছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে। সবাইকে বাসায় থাকতে। এ নিয়ম না মানার ফলেই করোনা সংক্রামণ বেশি হচ্ছে।’

বাজারঘাট বা ইফতারি কেনার সময় অবশ্যই সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি খুব সমস্যা না হয় তাহলে বাসায়ই ইফতার বানিয়ে খাওয়া উচিৎ। কারণ এখন বাইরে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ।’

 

ঢাকা/হাসিবুল/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়