ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শেখ হাসিনা বিশ্বে অনুকরণীয় নেতৃত্বের উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫২, ১৭ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
শেখ হাসিনা বিশ্বে অনুকরণীয় নেতৃত্বের উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৎ ও কর্মঠ রাষ্ট্রনায়কদের অন্যতম আখ্যায়িত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, তিনি আজ বিশ্বের সামনে অনুকরণীয় নেতৃত্বের উদাহরণ।’

রোববার (১৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কে কতটুকু শেখ হাসিনার সাথে থাকতে পেরেছি জানি না, কিন্তু গত ৩৯ বছরের পথচলায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সাথে ছিলেন এবং আছেন। তাকে ১৯ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করে, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়েও তাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বারবার মৃত্যুর উপত্যকা থেকে ফিরে এসেও মৃতুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা বিচলিত হন নাই, দ্বিধান্বিত হন নাই, বরং আরো দীপ্ত পদভারে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তখন জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসিত করে দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে এনেছিল। তাই ১৭ মে ১৯৮১ সালে শুধুমাত্র ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল না, এদিন ছিল গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা ঘোষণা করেন, তখন জিয়াউর রহমান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোভাব, তার দেশে আসার ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক চাপের কারণে জিয়াউর রহমান তাকে দেশে আসতে দিতে বাধ্য হয়েছিল। দেশে আসার পর শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভেজা ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়ে মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান সে অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তায় সামিয়ানা টাঙিয়ে মিলাদের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। এমনই জিঘাংসাপরায়ণ ছিল জিয়াউর রহমান। সেদিনের ঝড়-বৃষ্টি-মেঘের প্রচণ্ড গর্জনে মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের প্রতি ধিক্কার প্রদর্শন করছে। সেদিন আমরা শ্লোগান দিয়েছিলাম- ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা, আমরা আছি তোমার সাথে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর বাংলাদেশের মানুষকে, এই জাতিকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন, দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি পদক পেয়েছেন।’


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়