ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ঘর রক্ষার চেষ্টা

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২০ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ঘূর্ণিঝড়ের আগে ঘর রক্ষার চেষ্টা

ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন 'আম্ফান'। নিকট অতীতের যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে আম্ফান খুবই শক্তিশালী। এই প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে নিজেদের জানমাল রক্ষায় চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে উপকূলের মানুষজন। এজন্য অনেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হওয়ার পর নিজেদের ঘর ও অন্যান্য মালামালসহ গবাদি পশু রক্ষার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে।=

বুধবার (২০ মে) ভোর থেকেই উপকূলের বিভিন্ন জেলায় সুপার সাইক্লোনের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইছে। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এরই মধ্যে অনেক বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সতর্ক করে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে মহাবিপদ সংকেত শোনার পর থেকেই অনেকেই বৃষ্টির মধ্যেই ঘরের আশপাশে থাকা গাছপালা কাটতে বা ডালপালা ছাড়তে শুরু করেছে। টিনের চালা যাতে ছুটে না যায় সেজন্য শক্তকরে বেঁধে দিচ্ছে। নিজেদের ঘরের পাশাপাশি গবাদি পশুর ঘর রক্ষার জন্য অতিরক্ত খুঁটি দিচ্ছে অনেকে।

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আফরা গ্রামে দেখা যায়, ঘরের পাশে থাকা গাছের ডালপালা কেটে ফেলছেন ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে মো. ইব্রাহিম বলেন, এ গাছের পাশে আমার এক প্রতিবেশী ঘর। যেভাবে ঘূর্ণিঝড় আসছে তাতে ডালখোলা থাকলে গাছটি যদি প্রতিবেশির ঘরে পড়ে, তারা চাপা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সব ডালপালা কেটে দিচ্ছি।
 


কামাল হোসেন বলেন, আমার নিজের ঘরের পাশে থাকা সব গাছের ডালপালা কেটে ফেলেছি। কেননা এর আগে যতবারই এরকম বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় এসেছে ততোবারই ডালপালার কারণে গাছ পড়ে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গবাদিপশুর গোয়ালঘর অতিরিক্ত কটি দিয়ে মজবুত করতে দেখা যায় মোহাম্মদ আকরাম পাইকে। তিনি বলেন, শুধু নিজেদের কথা চিন্তা করলে হবে না, এসময় গবাদিপশুর কথাও চিন্তা করতে হবে।

বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, বাতাসের যাতে টিন ছুটে না যায় সেজন্য ঘরের চালার ওপর থেকে থেকে বাঁশ বেঁধে দিচ্ছেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলার কোন গ্রামের আজাদ মোল্লা বলেন, আমার ঘরের অবস্থা ভালো না। তাই আমি রশিদিয়া তারই পাশে বিভিন্ন গাছের সঙ্গে ঘর বেঁধে দিচ্ছি। আর সেই সঙ্গে টিনের চালার ওপরে বাঁশ বেঁধে রাখছি, যাতে ছুটে না যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। স্থলভাগের থামলে তখন ঘণ্টায় এর গতি থাকবে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।


সাওন/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়