ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শেষ সময়ে চলছে ঈদ কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৩ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
শেষ সময়ে চলছে ঈদ কেনাকাটা

কাল বাদে পরশু ঈদ। তাই সবাই করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও এখন ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায়।

করোনা ভাইরাসের মধ্যেও ঈদের কথা চিন্তা করে গত ৪ মে সরকারের এক নির্দেশনায় অনুমতি দিলেও শপিংমল থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউ মার্কেট, গাউসিয়া মার্কেটসহ অধিকাংশ মার্কেট বন্ধ রয়েছে।

তবে সব কিছু উপেক্ষা করে শেষ সময়ে মোটামুটি বেচাবিক্রি জমে উঠেছে। ঈদের পোশাক ছাড়াও প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন আতর, টুপি, জুতা, প্রসাধনী পণ্যের বেচাবিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক ক্রেতাই আছেন, যারা পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে শেষ দিকে কেনাকাটা করতে বের হন। তাদের কাছে এ সময়টায় কেনাকাটার মজাই আলাদা।

শনিবার (২৩ মে) রাজধানীর আজিজ সুপারমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবার প্রচুর ভিড় না থাকলেও মোটামুটি ক্রেতাদের দেখা মিলছে এখানে। তবে বিক্রেতাদের দাবি, বিক্রি হচ্ছে খুব কম। আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।
প্লাস পয়েন্ট শো-রুমের এক কর্মী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেকেই রয়েছেন যারা করোনার কারণে বেতন-বোনাস এবার পায়নি। প্রতি বছর এমন সময় বেতন বোনাস পেয়ে যেত সবাই। আর তখনি ক্রেতারা সবাই তার পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে আসতো, কিন্তু এবার পুরোপুরি উল্টো হচ্ছে। শোরুম খুলে বশে আছি, কিন্তু আশানুরূপ ক্রেতা নেই।

আজিজ সুপার মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মার্কেট খুলেছি। মার্কেটে ক্রেতা কম। দিন শেষে বেচাকেনা হতাশ করছে আমাদের। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা মার্কেটমুখী হচ্ছে না।

রাজিব হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের সারা বছরের মূল ব্যবসা হয় রোজার ঈদ ও পহেলা বৈশাখে। এবার করোনার কারণে পহেলা বৈশাখে দোকান খুলতে পারিনি। ঈদে দোকান খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে অল্প কয়েক দিনের জন্য। কিন্তু করোনার কারণে এবার অন্য বছরের তুলনায় ক্রেতা কম।

এলিফেন্ট রোডের ইজি ফ্যাশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, করোনার কারণে ক্রেতা অনেক কম। আমরা যেটা আশা করছিলাম তেমনটা পূরণ হচ্ছে না। তবে মোটামুটি ক্রেতা রয়েছেন।

তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের শো-রুমের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। প্রবেশ পথে আমরা জীবাণুনাশক স্প্রে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সব কিছুই রেখেছি কিন্তু মানুষের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতা নেই। এতে যারা মার্কেট করতে আসছেন তারা যেমন নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, তেমনি আশপাশের বাসিন্দাদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন।

সজীব হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, এলিফেন্ট রোডে আসলাম পাঞ্জাবি কেনার জন্য। আমার নিজের জন্য একটা কিনেছি। এখন ছোট ভাইয়ের জন্য কিনতে হবে। কিন্তু প্রচুর মানুষ। এর মধ্যে যেতেও ভয় লাগছে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। যে যেমন করে পারছেন কেনাকাটা করছেন। এখন কোনোভাবে একটা পাঞ্জাবি কিনতে পারলে হয়, তাহলে বাসায় চলে যাবো।


ঢাকা/ হাসিবুল/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়