বন্যায় সারা দেশে ৯২২১ টন চাল বিতরণ 

সাম্প্রতিক অতিবর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশের ৩৩ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য ১৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এবং নয় হাজার ২২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।  

রোববার (২ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সেলিম হোসেন রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানান।

বন্যাকবলিত এলাকার জেলা প্রশাসন থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকা এবং বিতরণ হয়েছে ৬২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। গোখাদ্য কেনার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের এক কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার এবং বিতরণ এক লাখ ১১ হাজার ৯২২ প্যাকেট।  
 
এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ ৩০০ বান্ডিল এবং বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।

বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ। বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৯টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ১০১৯টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৮ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩১ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩ জন। এরমধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে ১, সুনামগঞ্জে ৩, সিলেটে ১, কুড়িগ্রামে ৯, টাঙ্গাইলে ৪, মানিকগঞ্জে ২, মুন্সীগঞ্জে ১, গাইবান্ধায় ১, নওগাঁয় ২, সিরাজগঞ্জে ২ এবং গোপালগঞ্জে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
 
বন্যাকবলিত জেলাসমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৫৩৩টি। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪০৯ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৪৬টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে ৯৬৭টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩৯৯টি।