রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি নির্মূলের আহ্বান
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
দেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি নির্মূলের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগ বন্ধ ও বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংস্থাটি। টিআইবির পক্ষ থেকে এবারের আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি-কৌশল প্রণয়ন, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং সেগুলোর বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে তরুণরাই মূল চালিকাশক্তি, এ কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, ‘২০০৬ সাল থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের সম্পৃক্ত করে ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন সচেতনতা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে টিআইবি। যার মূল ভিত্তি হচ্ছে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে তরুণদের সচেতন করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে তৈরি করা।’
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে ২০টিতে সরাসরি তরুণদের কথা বলা হয়েছে, উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এসডিজি ১৬-তে টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সকলের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং সকল স্তরে কার্যকর জবাবদিহিতাপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের পাশাপাশি সুশিক্ষিত, দক্ষ ও সচেতন যুবসমাজ ও তাদের অংশগহণই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই এসডিজি অর্জনের সক্রিয় অংশীজন হিসেবে যুবসমাজ যাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি-কৌশল প্রণয়ন, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং তার বাস্তবায়নকারীর ভূমিকা পালনে সক্ষম হতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।‘
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘পুরো বিশ্বের মতো কোভিড-১৯ বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক ও গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়লেও বিশেষ করে তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য ঝুঁকিটা বেশি। অতিমারি পরিস্থিতিতে তরুণদের চাকরির ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। নতুন ও অভিনব কর্মক্ষেত্রে অভিগম্যতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনাময় তরুণদের সিংহভাগই পিছিয়ে আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের অংশগ্রহণে সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন জরুরি।’
ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক
আরো পড়ুন