ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণমাধ্যম যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ২৩ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১৬:২৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণমাধ্যম যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দেশের সংবাদপত্র ও গণ মাধ্যমসমূহ তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বিশেষ প্রেস এডভাইস অবজ্ঞা করে তা করা সম্ভবও ছিল না। গণমাধ্যম ও রাজনীতি এক সুতোয় গাঁথা। সে সময় সংবাদমাধ্যম সাহসী ভূমিকা রাখতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি পড়তে হতো না। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শনিবার (২২ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিল আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী গণমাধ্যমের ভূমিকা ও রাজনীতি' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ইনচার্জ আমানুর রহমান রাকাত এবং বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি জাবিদ হাসান ফাহিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন নিউজ এজেন্সি আনন্দপত্র বাংলা সংবাদ সংস্থার (আবাস) প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সবচেয়ে স্বাধীন উল্লেখ করে বলেন, মূল ধারার গণমাধ্যমের বাইরে বর্তমানে অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক গণমাধ্যম বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্টসহ ২১ বার হত্যা চেষ্টা করা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার দেশি-বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, খুন করার চেষ্টা হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে। পাকিস্তানী ধারায় অভ্যুত্থানের আরেকটি ধাপ বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল। যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর থেকেও বঙ্গবন্ধু দেশের জিডিপি ৭ দশমিক ৫ ভাগে উন্নীত করেছিলেন। কুচক্রী মহল উপলব্ধি করেছিল যে জাতির পিতাকে হত্যা না করলে বাংলাদেশের বিকাশ বন্ধ করা যাবেনা। আর বঙ্গবন্ধুর খুনি কে, তা মাজেদের জবানবন্দিতে স্পষ্ট হয়েছে। কে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন তা জাতির কাছে পরিস্কার হয়েছে। 

তিনি বলেন, ২০০৮ সালেও দেশে আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র আট লাখ। দেশে আজ ২১শ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দেশে ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

ড. গোলাম রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পত্রিকা ছাপা হয়েছে কিন্তু তা বিতরণ করতে দেওয়া হয়নি। রেডিও টিভি দখল হয়ে যায়। তখন গণতন্ত্র হরণ হয়, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ হয়ে যায়। বিদেশি মিডিয়া এবিসি ও সিভিসি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিষয়টি ফলাও করে প্রচার হয়েছে। সংবাদ বিশ্লেষণ প্রচারিত হয়েছে। 

হাসান/এসএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়